English

26 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

ইমামবাড়ায় বিষ্ময়কর প্রাচীন ঘড়ি

- Advertisements -

কলকাতার হুগলি জেলায় ইমামবাড়াতে আছে এক বিষ্ময়কর ঘড়ি। ১৮৫২ সালে ১১ হাজার ৭২১ রূপিতে (বর্তমান মুদ্রায়) কেনা হয়েছিল সেই ঘড়ি। সেই ঘড়ি আজও চলছে সময় মেনেই।

দীর্ঘ ২০ বছর (১৮৪১ থেকে ১৮৬১ সাল) ধরে তৈরি হয়েছিল হুগলির এই অপরূপ ইমামবাড়া। হাজী মোহাম্মদ মহসিনের রেখে যাওয়া ফান্ড থেকে তৈরি হয়েছিল এই ইমামবাড়া।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য খোলা ইমামবাড়ার দরজা। প্রাচীন এই স্থাপত্যেই লেখা আছে এই কথা। আসলে বাংলার সম্প্রীতির অন্যতম পীঠস্থান এই ইমামবাড়া।

ইমামবাড়ার ১৫০ ফুট উঁচু চূড়াতে রয়েছে এই ঘড়ি। বলা হয় সম্ভবত ভারতে অন্য কোথাও এমন ঘড়ি নেই। ইমামবাড়াতেই লেখা রয়েছে এ কথা। মীর কেরামত আলী এই ঘড়ি কিনে এনেছিলেন বিদেশ থেকে। সপ্তাহে একদিন দম দিতে হয় এই ঘড়িতে। দম দেওয়ার চাবিটির ওজনই ২০ কেজি। সপ্তাহে একবার দম দিতে হয়। কমপক্ষে দু’জন লাগে এই ঘড়ি দম দিতে।

ঘড়ির মেশিন ঘরের ঠিক ওপরের দিকে তিনটি ঘণ্টা পরপর রয়েছে। যার ওজন হল ৮০ মণ, ৪০ মণ ও ৩০ মণ। মাঝারি ও ছোট ঘণ্টা দু’টি ১৫ মিনিট অন্তর বাজে আর বড় ঘণ্টা বাজে প্রতি ঘণ্টায়। এখানে একটি সূর্য ঘড়িও আছে।

ইমামবাড়ার কেয়ারটেকার তথা গাইড এমডি রেজওয়ান জানিয়েছেন, বহু বিখ্যাত মানুষ এই ইমামবাড়া ও ঘড়ি দেখতে আসেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন