ইতালির জাতীয় নির্বাচনে রবিবার কয়েক কোটি নাগরিক ভোট দিচ্ছেন। জনমত জরিপ অনুযায়ী, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো দেশটির ক্ষমতায় বসতে পারে উগ্র ডানপন্থী জোট।
ডানদের উত্থানের সম্ভাবনায় সাধারণ ভোটারদের একটি অংশের মধ্যে শঙ্কা থাকলেও অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্বসহ বিভিন্ন সমস্যাকবলিত অনেকেই খুশি। ডানপন্থীরা এসব সমস্যার ওপর জোর দিয়ে তাঁদের সমর্থন টেনেছে নিজেদের দিকে।
ডানপন্থীদের উত্থানে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক ইতালীয়। ৬০ বছর বয়সী মালাতেস্তা তাঁদের একজন। গতকাল ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক মুহূূর্তে ভোট দেওয়া আমার দায়িত্ব। আমি ভীত, কারণ দেশের মানুষ ডানপন্থীদের দিকে ঝুঁকছে। আমি বেশ উদ্বিগ্ন। ’
তবে ভিন্নমতও আছে। ৭৯ বছর বয়সী ভোটার লুসিয়ানো বলেন, ‘আমার মতে মেলোনিই একমাত্র রাজনীতিক, যিনি ইতালির অবস্থার পরিবর্তন করতে পারেন। তিনি সব সময় ইতালীয়দের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবেন। ’
উগ্র ডানপন্থীদের অভিবাসীবিরোধী নীতির কারণে ইতালিতে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসী তথা অভিবাসীদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইতালিতে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাস করা বাংলাদেশি নারী রোকসানা মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় ডানপন্থীরা অভিবাসীদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। আমাদের ধারণা তারা ক্ষমতায় এলে অভিবাসীদের জন্য কঠোর আইন হবে। ’
ইতালির এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা পাঁচ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ২৬ লাখ। একজন ভোটার দুটি করে ভোট দেবেন। একটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও অন্যটি নিম্নকক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য।