করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যেই চরম রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে ইতালি সরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজির দল ‘ইতালিয়া ভিভা’ বর্তমান জোট সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করায় রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে ইতালিতে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারী) বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে সংসদের নিম্ন কক্ষে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছেন। আস্থা ভোটে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৩২১ জন সংসদ সদস্য ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ২৫৯টি। এতে দেশটির জাতীয় সংসদের নিম্ন কক্ষে আস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে।মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে উচ্চকক্ষ সিনেটে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
এর আগে ইতালিয়া ভিভা দলের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করে জোট থেকে সড়ে দাঁড়ালে এই আস্থা ভোটের প্রয়োজন দেখা দেয়। ইতালির জাতীয় সংসদের নিম্ন কক্ষে আস্থা ভোটে জুসেপ্পে কন্তে বিজয়ী হলেও মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় মধ্য রাত ফের সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেট আবারও আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী) রাতেই বর্তমান সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। করোনায় বিপর্যস্ত দেশটিতে রাজনৈতিক সংকটে কিছুটা বিব্রত প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। ভিত্তিহীন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধভাবে ইতালির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্যে দল মত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছন তিনি।
তিনি আরো বলেন, মহামারীর কারণে ইতিমধ্যেই আমরা একটি সংকট পার করছি, এর মাঝেই রাজনৈতিক সংকট দেশটিতে গভীর হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
একই দিনে সিলভিও বের্লুসকোনীর ডানপন্থী দল ফরছা ইতালিয়ার রেনাটো পোলভেরিনি নিজের দলের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভোট প্রদান করে দল ছেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও বামপন্থী দল পিডির নেতা জিঙ্গারেত্তি সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে এই মূহুর্তের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইতালিয়া ভিভার প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি বলেছেন “সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমরা সিনেটে দেখব”।
সোমবার নিম্ন কক্ষের আস্থাভোটে প্রধান মন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের বিজয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ইতালিতে বসবাসরত অন্যান্য প্রবাসী ।
আজ সন্ধ্যায় (মঙ্গলবার ১৯ জানুয়ারী) সিনেটের চেম্বারে আস্থা ভোট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং রাতের মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে এবং বর্তমান সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।