English

23 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

ইউরোপে কেন অতি-ডানপন্থী দলগুলোর উত্থান ঘটছে?

- Advertisements -

ইতালির নির্বাচনে অতি-ডানপন্থী দলগুলোর জোটের বিপুল বিজয় সবাইকে চমকে দিয়েছে। একদা যে ইউরোপকে বলা হতো উদারপন্থী গণতন্ত্রের দুর্গ, সেখানে অনেকদিন ধরেই অভিবাসনবিরোধী, জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামবিদ্বেষী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে ভালো করছিল।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অনেকদিন ধরেই ডানপন্থী দলগুলো মাথা তুলছিল। ফ্রান্স, জার্মানি বা সুইডেনের মতো বেশকিছু দেশে এসব দল প্রধান রাজনৈতিক দলের কাতারে উঠে আসছিল। অনেক দেশে তারা ক্ষমতার বেশ কাছাকাছি এসে গিয়েছিল।

আর ইতালিতে ব্রাদার্স অব ইতালি এবং তার মিত্ররা বিপুল জয় পাবার পর অনেকেই মনে করছেন যে ইউরোপে ডানপন্থীদের উত্থান স্পষ্টভাবে সবার চোখে ধরা পড়েছে। ইউরোপের রাজনীতিতে হয়তো এক বড় পরিবর্তন আসন্ন।

কেন অতিডানপন্থী জোট ইতালিতে জয় পেলো? রোমের লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিক অধ্যাপক ড. রবার্তো দা’লিমন্ত বলছেন ইতালিতে লোকে পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে – তবে অভিবাসন-বিরোধিতাই একমাত্র কারণ নয়।

তিনি বলছেন, “মিজ মেলোনির পার্টি ব্রাদার্স অব ইতালি – দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চিরকালই বিরোধীদলে ছিল। তবে এবার ইতালির অনেক ভোটার একটা পরিবর্তন আনার জন্য ভোট দিয়েছে। মিজ মেলোনি অভিবাসন ঠেকানো, ট্যাক্স কমানো এবং ইতালির আত্মপরিচয় তুলে ধরা, ব্রাসেলসে ইতালির জাতীয় স্বার্থরক্ষা – ইত্যাদি যেসব নীতির কথা বলেছেন – সেটা লোকে পছন্দ করেছে। তাছাড়া মেলোনি নতুন এবং ভিন্ন ধরনের একজন রাজনীতিক, তিনি আগে কখনো সরকারে ছিলেন না এবং তিনি তার পূর্বসূরীদের চেয়ে ভালো করবেন – এটাই লোকে ধরে নিয়েছে। তার বিজয়ের কারণ এগুলোই – কিন্তু আসল কারণ হচ্ছে লোকে একটা পরিবর্তন চেয়েছে।”

অধ্যাপক রবার্তো দা’লিমন্তর কথায় – “ব্রাদার্স অব ইতালি একটা র‍্যাডিক্যাল বা উগ্র ডানপন্থী দল। কিন্তু শুথু একারণেই যে তারা ভোট পেয়েছে তা নয়। অনেকে শুধু অভিবাসন ঠেকানোর শ্লোগানের জন্যই তাদের ভোট দিয়েছে – এটা ঠিক । কিন্তু সবাই নয়। বহুলোকেই তাদের ভোট দিয়েছে এই কারণে যে – এরা এতদিন বিরোধীদলে ছিল, এবার এদেরকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখা যাক, এরা কি করতে পারে।”

প্রকৃতপক্ষে গোটা ইউরোপজুড়েই ডানপন্থী দলগুলো অনেক দিন ধরেই শক্তিশালী হচ্ছিল।

ফ্রান্সে ন্যাশনাল ফ্রন্ট , জার্মানিতে এএফডি, হাঙ্গেরিতে ফিডেস, সুইডেনে এসডি, স্পেনে ভক্স পার্টি, অস্ট্রিয়ায় ফ্রিডম পার্টি, ইতালিতে লিগ এবং ব্রাদার্স অব ইতালি – এ তালিকা আদৌ ছোট নয়।

একেক দেশে একেক নামের দল হলেও এদির অভিন্ন কিছু বৈশিষ্ট্য চোখে পড়বে। এরা সবাই কমবেশী জাতীয়তাবাদী, অভিবাসন বিরোধী, বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসন বিরোধী এবং তাদের এ বিরোধিতা কোন কোন ক্ষেত্রে ইসলামবিদ্বেষী চেহারা নেয়।

প্রশ্ন হলো কেন ইউরোপজুড়ে এদের জনপ্রিয়তা এমনভাবে বাড়ছে? ফ্রান্সের এবং র‍্যালি ফর দ্য রিপাবলিক দলের সাবেক এমপি এবং রাজনীতিবিদ পিয়ের লেকিয়া বলছিলেন, এর একাধিক কারণ রয়েছে।

লেকিয়া বলেন, “নিশ্চিতভাবেই এর কোন একক কারণ নেই। আসলে অনেক মানুষই ইউরোপকে পুরোপুরি বোঝে না। এর কারণ ইউরোপের ভেতরেই রয়েছে। যেমন ফ্রান্সে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার – যা পূরণ হয়নি। সেসব সংস্কার করা হয়নি। মানুষ গরীব হচ্ছে, লোকের হাতে যথেষ্ট অর্থ নেই। জাতীয়তাবাদী দলগুলো এ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। তারা অভিবাসনকে এ জন্য দায়ী করছে। কিন্তু আসলে অনেক কাজের সুযোগ আছে – যা ফরাসীরা করতে চায় না, এবং সে চাকরিগুলো অভিবাসীরা নিয়ে নিচ্ছে। জাতীয়তাবাদীরা বলছে, অভিবাসন বেড়ে গেছে – তারাই ফ্রান্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে, কিন্তু এসব কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

“যদি ফ্রান্সের কথা বলি, ইইউ এবং অভিবাসন প্রশ্নে মারিন লা পেন আগে যে অবস্থান নিয়েছিলেন – তাতে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। একসময় তিনি কড়া ইইউ বিরোধী ছিলেন, কিন্তু সবশেষ নির্বাচনের সময় দেখা গেল ইইউ এবং অভিবাসনের ক্ষেত্রে তার অবস্থান অনেক নরম হয়েছে আসলে তাদের প্রভাব কখনো বাড়ে, কখনো কমে। জার্মানিতে একটা সময় চরম ডানপন্থী দলগুলো ভালো করছিল, কিন্তু এখন তাদের জনপ্রিয়তা আবার কমে যাচ্ছে,” বলেন পিয়ের লেকিয়া।

এক হিসাবে দেখা যায়, ইউরোপের অন্তত ১৯টি দেশে এখন ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল সক্রিয়। তার মধ্যে অন্ততঃ ১৪টি দেশের নির্বাচনে এসব দল ১০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে সুইডেনের নির্বাচনে অভিবাসনবরোধী অতিডানপন্থী দল এসডি দ্বিতীয় সর্বো্চ্চ ভোট পেয়ে কিংমেকারের ভুমিকায় আবির্ভূত হয়েছে।

সুইডেন এবং ইউরোপের সাম্প্রতিক রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে দুটি বই লিখেছেন লেখক ফ্রেডরিক সেগারফেল্ড।

তিনি বলছিলেন, শুধু ইউরোপ নয়, সারা বিশ্বেই ডানপন্থী রাজনীতি জোরদার হচ্ছে।

তিনি বলছিলেন, “আমার মনে হয় এটি এক বৃহত্তর প্রক্রিয়ার অংশ। মানুষ একধরনের শৃঙ্খলা, নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব চাইছে। এটা শুধু ইউরোপে ঘটছে না, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা, ব্রাজিল – এগুলো কয়েকটা উদাহরণ। এটা পৃথিবীতেই একটা প্রধান ধারা হয়ে উঠেছে। তবে দেশে দেশে এর চেহারা ভিন্ন। তবে সাধারণভাবে তারা প্রগতিশীলতার বিরোধী। এরা বলছে, শহুরে জনগোষ্ঠী আর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে, পরিবর্তনের গতি খুব বেশি দ্রুত হয়ে গেছে , দেশের সাথে একাত্মতাবোধ কমে যাচ্ছে। যেমন, সুইডেনে এখন জনসংখ্যার ২০ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে অন্য কোন দেশে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটা ঘটে গেছে।”

“আমি নিজে বহুসংস্কৃতিবাদের ভক্ত। কিন্তু এখানকার অন্য অনেক লোকই এতে অস্বস্তি বোধ করে। তারা তাদের চারপাশে তাদেরই মত মানুষদের দেখতে চায়। একদিকে তারা প্রগতিশীলতার বিরোধী – কিন্তু অন্যদিকে আবার তাদের চোখে ‘কম প্রগতিশীল’ এমন দেশ থেকে অভিবাসী আসাটাকেও তারা পছন্দ করছে না – কারণ তারা দেখছে যে এর ফলে পশ্চিমা সমাজের প্রগতিশীল আদর্শগুলোই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। একে একটা স্ববিরোধিতাই বলতে হবে,” বলছিলেন ফ্রেডরিক সেগারফেল্ড।

তার কথায় – “আসলে সুইডেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ আগে থেকেই অ্যাসাইলামের মাধ্যমে অভিবাসনের বিরোধী ছিল। কিন্তু এটা রাজনৈতিক এজেন্ডার শীর্ষে ছিল না। এর মধ্যে অপরাধ-সহিংসতা বেড়ে গেছে, এবং লোকে এটাকে অভিবাসনের সাথে সম্পর্কিত করছে।”

বিশেষ করে ২০১৫ সালে সিরিয়া থেকে আসা প্রায় ১০ লক্ষ শরণার্থী জার্মানি এবং ইউরোপের অন্য দেশ আশ্রয় পাওয়াকে কেন্দ্র করে অভিবাসন নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হতে থাকে। ডানপন্থী দলগুলোর চোখে এই ঘটনা অভিবাসন-বিতর্ককে ভিন্ন এক মাত্রা দেয়।

ফ্রেডরিক সেগারফেল্ড বলছেন, “এর একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামবিদ্বেষ । উত্তর-ঔপনিবেশিক যুগে মুসলিমদেরই দেখা হচ্ছে ইউরোপিয়ান খ্রিস্টানদের বিপরীত বা ‘ভিন্ন’ হিসেবে। এবং ইউরোপের বিভিন্ন অংশেই এখন মুসলিমবিরোধী সেন্টিমেন্ট কাজ করছে। অন্যদিকে এখানে ডেনিশ-সুইডিশ একজন রাজনীতিক কোরান পোড়ানোর মত ঘটনা ঘটিয়েছেন। ফলে এ বিতর্ক এখানে চলছে যে, কীভাবে আমরা অভিবাসন-বিরোধিতা বা ইসলামবিদ্বেষের মত উস্কানির মুখে এই সমাজকে রক্ষা করতে পারি।”

ফ্রেডরিক সেগারফেল্ড বলেন, সুইডেনে কখনোই ফ্যাসিস্ট বা নাৎসীরা ক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু ইতালিতে নিও-ফ্যাসিজম কখনোই পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি।

“এখন ইউরোপের অনেক দেশেই ডানপন্থী দলগুলোর অস্তিত্ব একরকম স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে যাচ্ছে। এরা আগে চরমপন্থী ছিল কিন্তু এখন মধ্য-ডানপন্থী অবস্থান নিচ্ছে, রাজনীতিতে তারা মূলধারায় জায়গা করে নিতে চেষ্টা করছে, এবং তারা আরো বেশি করে গ্রহণযোগ্যতাও পেয়ে যাচ্ছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য ততটা ঝুঁকি নয় – তার চেয়ে বরং তারা উদারপন্থার জন্য চ্যালেঞ্জ। বলা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের ইতিহাসে আমরা এখন সবচেয়ে অ্যান্টি-লিবারেল সময় পার করছি। ”

ইউরোপ জুড়ে ডানপন্থীদের প্রভাব বাড়তে থাকায় তা অভিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটা উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে অধ্যাপক রবার্তো দা’লিমন্ত বলছিলেন, ডানপন্থী দলগুলো অভিবাসন ঠেকানোর কথা বললেও আসলে ক্ষমতায় গিয়ে এ ব্যাপারে অন্তত স্বল্প মেয়াদে তেমন কিছুই করতে পারবে না।

“জর্জা মেলোনি অভিবাসন নিয়ে কথা বলে যাবেন, কিন্তু খুব শিগগীরই তিনি আবিষ্কার করবেন যে নৌকায় করে অভিবাসীদের আসা ঠেকানোর ব্যাপারে তিনি খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না। এজন্য আসলে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল দরকার, স্বল্পমেয়াদি কোন কিছুতে কাজ হবে না। তাকে মেনে নিতে হবে যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে তার দরকার, ইইউর সাথে তাকে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। কারণ অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য ইতালি ইইউর অর্থ পাচ্ছে।”

অধ্যাপক দা’লিমন্ত মনে করেন, জর্জা মেলোনিকে এক জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। কিন্তু তিনি হয়তো অভিবাসন ঠেকানোর কথা বলেই যাবেন – কারণ ভোটারদেরকে রাজনীতিবিদরা জটিল জিনিস শোনাতে চায় না, তারা সবসময় সহজ সমাধানের কথা বলে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ইতালির পর ইউরোপের অন্য দেশেও কি একই ভাবে ডানপন্থী দলের উত্থান হতে পারে? এতদিন ইউরোপ যেমন পৃথিবীর সামনে গণতন্ত্র মানবাধিকার আর উদারপন্থার দৃষ্টান্ত হয়ে ছিল – তা কি এখন আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে?

সাবেক ফরাসী রাজনীতিবিদ পিয়ের লেকিয়া বলছিলেন, তিনি তা মনে করেন না।

তিনি বলছেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে তা মনে করি না। তবে তারা বিপজ্জনক, এবং আমার মনে হয় তাদের ব্যাপারে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।”

ফ্রেডরিক সেগারফেল্ড অবশ্য মনে করেন ডানপন্থার উত্থান খুব শিগগীর থেমে যাবে এমনটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।

“আমার মনে হয় এটা বেশ কিছু দিন চলবে। আমাদের উদারপন্থা, সহিষ্ণুতা এবং খোলা-দুয়ার নীতিকে রক্ষা করতে হবে। ডানপন্থী দলগুলোর উত্থানের এই ধারার অবসান ঘটার জন্য চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু আমরা এটা পারবো কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই। কারণ পুরো ইউরোপ মহাদেশ জুড়েই এটি একটি শক্তিশালী ধারায় পরিণত হয়েছে। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে এর ফলে হুমকির মুখে পড়বে তা আমার মনে হয় না। ”

তবে অধ্যাপক রবার্তো দা’লিমন্ত বিষয়টিকে দেখতে চান ভিন্নভাবে।

তার কথা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এমনটা হয়েই থাকে এবং অতিডানপন্থীদের এ উত্থান হয়তো একটা সাময়িক ব্যাপার।

তিনি বলেন,”আমরা এত অবাক হচ্ছি কেন? এটা গণতন্ত্র । মানুষজন মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, অভিবাসন এসব নিয়ে বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। তারা সরকারের কাছ থেকে সুরক্ষা চায়। বামপন্থী দলগুলো এই সব মানুষদের সাথে সংযোগ হারিয়ে ফেলেছে। সেজন্যই তারা ডানপন্থীদের দিকে মুখ ফিরিয়েছে। এখানে হতাশ হলে তারা হয়তো আবার বামপন্থীদের দিকে তাকাবে। মানুষের সমর্থন পেন্ডুলামের মতো একবার এদিকে একবার ওদিকে যাবে – গণতন্ত্রে এটা খুবই স্বাভাবিক। আমার মনে হয় আসল প্রশ্ন হচ্ছে – যারা ক্ষমতায় আসছে তাদের দেশ পরিচালনার সক্ষমতা আছে কি না। ”

আসলে ইউরোপের রাজনীতিতে অতিডানপন্থীদের শক্তিবৃদ্ধি সবে শুরু হয়েছে এবং বলা যায় যে এটা হয়তো আরো কিছুদিন চলবে। তবে এটা স্পষ্ট যে যে তারা ১০ বছর আগে যেমন ইউরোপের রাজনীতিতে একটি ক্ষীণ ধারা ছিল – এখন তা আর নেই।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন