ইউক্রেনে হামলার জন্য পাঠানো সেনাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ সদস্যকে হারিয়েছে রাশিয়া, এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দারা। এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডনবাস অঞ্চলে রুশ বাহিনী যে হামলা চালাচ্ছে, তাতেও রাশিয়া অবস্থান হারিয়েছে। আর সেখানে যে সময়ের মধ্যে জয়ী হওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তা থেকেও অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে রুশ সেনারা।
বার্লিনে ন্যাটোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক বৈঠকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, রাশিয়াকে প্রতিহত করতে কিয়েভ সরকারের প্রতি সমর্থন বজায় রাখা অপরিহার্য।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন ‘পুতিনকে অবশ্যই ইউক্রেনে একটি অবিচ্ছিন্ন পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হবে। রাশিয়াকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন এই ধরনের আগ্রাসন আর কখনো ঘটবে না।
ন্যাটোর ডেপুটি সেক্রেটারি মিরসিয়া জিওনা বলেন, ইউক্রেনীয়রা এখন রাশিয়ানদের পরাজিত করা এবং যুদ্ধ জয় করার অবস্থানে রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ার নৃশংস আক্রমণ গতি হারাচ্ছে।’
মিত্র ও অংশীদারদের বিলিয়ন ডলারের উল্লেখযোগ্য সমর্থন, সামরিক সহায়তা, আর্থিক সহায়তা, মানবিক সহায়তা ইউক্রেনের জনগণ ও সেনাবাহিনীকে সাহস জোগাচ্ছে এবং এই যুদ্ধে তারা জয়ী হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তৃতীয় মাসে গড়িয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরোধের মুখে কিয়েভ দখল করতে পারেনি রাশিয়া। তবে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করে রুশ সেনারা। সম্প্রতি দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকেও রুশ সেনাদের তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। বহু মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দেশটিতে। এর মাঝে কয়েকটি অঞ্চলে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবিও করেছে ইউক্রেন। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ৫০ লাখ ইউক্রেনীয়। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও থামতে নারাজ পুতিন সরকার। অন্যদিকে হার মানতে রাজি নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।