দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন নিয়ে নতুন করে বড় কোনো ঘোষণা দেননি। তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ‘বিশেষ অভিযানের’ ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। খবর গার্ডিয়ানের।
সেনা প্যারেডে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, বাধ্য হয়ে তিনি বিশেষ অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং এটা সময়োচিত এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত ছিল।
১০ হাজারেরও বেশি রুশ সেনার সামনে দাঁড়িয়ে মস্কোর রেড স্কয়ারে পুতিন দাবি করেন, ক্রিমিয়া অঞ্চলে পশ্চিমারা আক্রমণের পরিকল্পনা করছিল। যার কারণে মস্কোর হাতে অভিযানের বিকল্প কোনো উপায় ছিল না।
পুতিন বলেন, ন্যাটো দেশগুলো আমাদের কথা শুনতে চায়নি। তাদের ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল যা আমরা দেখেছি। ক্রিমিয়াসহ তারা আমাদের ঐতিহাসিক ভূমিতে আক্রমণের পরিকল্পনা করছিল। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাশিয়া প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোমবার রাশিয়া ৭৭তম বিজয় দিবস উদযাপন করে। এদিন পুতিন মস্কোর রেড স্কয়ারে উপস্থিত হয়ে সেনা প্যারেড প্রত্যক্ষ করেন।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিজয় দিবসে পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ কিংবা সাধারণ সেনা সংযোজনের (জেনারেল মোবালাইজেশন) ঘোষণা দেননি। এছাড়া বক্তব্যে তিনি পারমাণবিক যুদ্ধেরও হুমকি দেননি।
তবে সংঘাতের তীব্রতা হ্রাসেরও কোনো ইঙ্গিত দেননি পুতিন। যদিও কিছু বিশ্লেষক ধারণা করেছিলেন— দোনবাসে বিজয়ের ঘোষণা দিয়ে পুতিন যুদ্ধ সমাপ্তের ঘোষণা দিবেন।