বিশ্ব মিডিয়ার কাছে খোলা চিঠি লিখে রাতারাতি আলোচনায় চলে এসেছেন ওলেনা জেলেনস্কা। তিনি ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি। মঙ্গলবার লেখা সেই চিঠিতে নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে ইউক্রেনের পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দেশটির বেসামরিক নাগরিকরাও প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।ওলেনা বলেছেন, আমরা জিতবো। আমাদের ঐক্যের জন্য আমরা জিতবো। আমরা সবাই ইউক্রেনকে ভালোবাসি সে জন্য জিতবো।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানান, তিনি রাশিয়ার প্রথম টার্গেট এবং তার পরিবার দ্বিতীয় টার্গেট।
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে জেলেনস্কির স্ত্রী ও সন্তানদের অবস্থানের তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ওলেনা। তিনি নিয়মিত ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে পোস্ট করে যাচ্ছেন।
জেলেনস্কির রাজনীতি করার বিষয়টি পছন্দ ছিল না ওলেনা। সবসময় পর্দার অন্তরালে থাকতেই পছন্দ করতেন ওলেনা। কিন্তু সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করার সুযোগ হিসেবে তিনি জেলেনস্কির রাজনীতি করার বিষয়টি পরে মেনে নিয়েছিলেন। তবে ৪৪ বছর বয়সী ওলেনা চান, তাদের দুই সন্তান নিজেদের ইচ্ছেমতো ক্যারিয়ার বেছে নেবে।
ইউক্রেনের ওম্যান্স কংগ্রেসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ওলেনার জন্ম ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ভবিষ্যত স্বামী জেলেনস্কির সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল হাইস্কুলে। তারা দুই জনই একই শহরে বেড়ে উঠেছেন। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনা করেছেন ওলেনা। জেলেনস্কি ও ওলেনার বিয়ে হয় ২০০৩ সালে। এক বছর পর প্রথম সন্তান ওলেজান্দ্রা জন্মগ্রহণ করে। ২০১৩ সালে দ্বিতীয় সন্তান কাইরাইলোর জন্ম হয়।