ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা তিনি বিবেচনা করছেন। এমনকি একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভের ব্যাপারে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের পর তিনি এমন মন্তব্য করলেন। খবর এএফপি’র।
নেতানিয়াহু এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ব্যাপারে কোন দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেননি এবং ইসরায়েল রাশিয়ার সাথে একটি সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। অথচ রাশিয়া ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ার আকাশ সীমা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলার প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রেখেছে।
সিএনএন’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইসরায়েল ইউক্রেনকে মার্কিন প্রযুক্তি আইরন ডোম দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে কি-না। এ প্রযুক্তি বিমান হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করে। নেতানিয়াহু বলেন, ‘ভাল, আমি গুরুত্বের সাথে বিষয়টি বিবেচনা করছি।’
তিনি নিশ্চিত করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে রাখা তাদের মজুদ কামানের একটি অংশ ইউক্রেনে স্থানান্তর করেছে। নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্ত্রের একটি বড় অংশ নিয়ে গেছে এবং ইউক্রেনে পাঠিয়েছে।
ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা জানান, ইরান ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য মস্কোর কাছে কম দামে ড্রোন বিক্রি করছে। যদিও তেহরান ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশের এমন দাবি অস্বীকার করে আসছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর এক্ষেত্রে তাকে অনানুষ্ঠানিক ভূমিকায় মধ্যস্থতা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তখন বিরোধী দলে থাকায় এটি করতে রাজি হননি।
তবে এখন তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট পক্ষ এবং যুক্তরাষ্ট্র বললে তিনি এ ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী হবেন।