গাজার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালে অস্ত্র ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বুধবার (১৫ নভেম্বর) হাসপাতালের ভেতর একটি নির্দিষ্ট স্থানে এগুলো পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা।
ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাতে আমাদের সেনারা হাসপাতাল ভবনের ভেতর প্রবেশ করে। সে সময় কোনো লড়াই হয়নি। চিকিৎসাকর্মী বা রোগীদের হেনস্তা করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি সেনারা এরই মধ্যে অস্ত্র ও সন্ত্রাসী অবকাঠমোর সন্ধান পেয়েছে। গত এক ঘণ্টায় আমরা শক্ত প্রমাণ পেয়েছি যে, হামাস শিফা হাসপাতালকে তাদের ‘সন্ত্রাসী কাজের’ সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করছে।
তবে হাসপাতালের ঠিক কোন অংশে এগুলো পাওয়া গেছে ও কী কী পাওয়া গেছে তা উল্লেখ করেননি ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা। প্রমাণগুলো পরবর্তী সময়ে জনসম্মুখে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক অভিযান। বিশাল হাসপাতালের মাত্র একটি নির্দিষ্ট অংশে আমাদের সেনারা রয়েছে। তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ধীরগতিতে কাজ করছে ও সফলতা পাচ্ছে।
ইসরায়েল দাবি করে আসছে, হামাস যোদ্ধারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য আল-শিফা হাসপাতাল ব্যবহার করে আসছে। তবে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, আল শিফার বাইরে বন্দুকযুদ্ধে চার ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। সেনারা যে এলাকায় অনুসন্ধান করছে সেখানে পাওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের একজন হামাস সদস্য বলে আমি মনে করি।