পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার ভোরের আগে এই হামলা চালানো হয়। সে সময় কমপক্ষে ৪০০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটকের ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এর আগে শনিবার (০১ এপ্রিল) আল-আকসা মসজিদের প্রবেশ পথের কাছে ফিলিস্তিনি এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। সে সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী ওই যুবককে অন্তত ১০ বার গুলি করেছে।
বুধবার ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী স্টান গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করেছে। এতে সেখানে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আল আকসায় মেডিকেল কর্মীদের প্রবেশেও বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আল আকসা মসজিদের বাইরে এক ফিলিস্তিনি নারীর শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমি একটি চেয়ারে বসে কোরআন তেলওয়াত করছিলাম। সে সময় তারা স্টান গ্রেনেড ছুড়ে মারে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এদের মধ্যে একজন আমার বুকে আঘাত করেছে।
এদিকে ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুখোশ পরা বিক্ষোভকারীরা লাঠি, পাথর নিয়ে মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেয়। ফলে সেখানে তারা প্রবেশ করতে বাধ্য হয়।
তাদের দাবি, পুলিশ সেখানে প্রবেশ করলে বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল মসজিদের ভেতর থেকে তাদের দিকে পাথর ছুড়ে মারে। সে সময় এক ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা পায়ে আঘাত পেয়েছেন বলেও জানানো হয়। গত কয়েক মাস ধরেই পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে দেখা গেছে।