আফগানিস্তানে গত তিন সপ্তাহ ধরে তুষারপাত এবং বৃষ্টিতে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আফগানিস্তানে এবারের শীতের সময়টায় বেশ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। তবে মৌসুমের শেষের দিকটা সাধারণত এমন একটি সময় আবহাওয়া আরও খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে আকস্মিক বৃষ্টি ও বন্যায় জনগোষ্ঠীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র জনান সায়েক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে তুষার ও বৃষ্টিপাতের কারণে ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও ২৩ জন নানা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
দুর্যোগে প্রায় এক হাজার ৬৪৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় এক লাখ ৭৮ হাজার গবাদি পশুও মারা গেছে বলে জানান তিনি।
মার্কিন-সমর্থিত সরকারের পতন এবং তালেবানের প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই আফগানিস্তানে বিদেশি সহায়তা নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। ফলে এ ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা করা তালেবান সরকারের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।
গত বছরের অক্টোবরে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই আঘাত এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যেই সোমবার সন্ধ্যা থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রাদেশিক রাজধানী হেরাত শহরে একটি বাড়ির ছাদ ধসে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল জাহের নূরজাই সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাদেশিক তথ্য থেকে দেখা গেছে, প্রায় ২৫০টি বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কৃষিজমির একটি বড় অংশই প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বৃহস্পতিবার থেকেই ত্রাণ সহায়তা আসা শুরু হওয়া দরকার।
গত ৭ অক্টোবর থেকে আফগানিস্তানে তিনটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর ফলে প্রায় ১৫০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং প্রায় ৩০ হাজার বাড়ি-ঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।