কয়েক মাসের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম কমেছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাই তেল-ঘিয়ের দাম কমাচ্ছে পাকিস্তানও। দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয় জাতীয় মূল্য পর্যবেক্ষণ কমিটিকে (এনপিএমসি) জানিয়েছে, এক মাসের মধ্যে ঘি ও ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ রুপি কমবে বলে আশা করছে তারা। খবর দ্য নিউজের।
পাকিস্তানের শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এনপিএমসি’কে জানিয়েছেন, প্রস্তুতকারকরা গত জুন ও জুলাই মাসে ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গুডস অব ডিক্লারেশনের (জিডি) ভিত্তিতে পাম তেল উৎপাদন করছিলেন। তাছাড়া মুদ্রা বিনিময় হার পরিবর্তনেরও কিছুটা ভূমিকা রয়েছে। এ অবস্থায় তাদের পরিচালিত সমীক্ষা বলছে, দেশীয় বাজারে ঘি ও ভোজ্যতেলের দাম কেজিপ্রতি ২০ রুপি কমানো উচিত।
দ্য নিউজের খবরে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পাম তেলের দাম দেড় হাজার মার্কিন ডলার থেকে এক হাজার ডলারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ দাম অন্তত ৩৫ শতাংশ কমেছে। কয়েক মাস আগে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম টনপ্রতি ১ হাজার ৮০০ ডলারে উঠেছিল। তখন অভ্যন্তরীণ বাজারেও দাম চূড়ায় পৌঁছায়। কিন্তু এটি খুবই আশ্চর্যজনক যে, সরকার এখন পর্যন্ত দেশীয় বাজারে দাম কমাতে পারেনি।
পাকিস্তান সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনপিএমসির পূর্ববর্তী সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অবস্থা মূল্যায়নে বুধবার ইসলামাবাদে জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. নাদিম জাভেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, লাইন মন্ত্রণালয়, এফবিআর, পাকিস্তান ট্রেডিং করপোরেশন, পাকিস্তান ইউটিলিটি স্টোর করপোরেশন, পাসকো এবং প্রাদেশিক সরকারের প্রতিনিধিরা।
সভায় সাম্প্রতিক বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর গৃহীত ব্যবস্থা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করা হয়। এসময় মুনাফাখোরদের কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে প্রাদেশিক প্রশাসনকে নির্দেশ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সভায় আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক দরপতনের প্রভাব স্থানীয় বাজারে কিছুটা দেরিতে পড়ায় আগামী মাসের মধ্যে ঘি ও ভোজ্যতেলের দাম কেজিতে যেন ২০ রুপি কমে, তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন মন্ত্রী আহসান ইকবাল।