আইএসের নেতা আবু বকর আল বাগদাদির ঘনিষ্ঠ ও বর্তমানে সংগঠনটির ‘অর্থমন্ত্রী’ হিসেবে পরিচিত সামি জসিমকে জীবিত অবস্থায় আটক করেছে ইরাকের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা।
তিনি আইএসের সার্বিক আর্থিক বিষয় দেখাশোনা করতেন। ছিলেন আবু বকর আল বাগদাদির সঙ্গে আইএসের উপনেতা। সোমবার তাকে আটক করার কথা জানিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদিমি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে আরো বলা হয়, ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ‘এক্সটারনাল অপারেশন’ চালিয়ে একটি ভবন থেকে আটক করেছে সামি জসিমকে। টুইটারে এসব লিখেছেন, কাদিমি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
বলেননি তাকে কোথা থেকে আটক করা হয়েছে। সামি জসিম একজন ইরাকি নাগরিক। তিনি আইএসের একেবারে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থাকা নেতাদের একজন। আইএসের অপারেশন সম্পর্কে তার কাছে মূল্যবান তথ্য থাকতে পারে। জীবিত অবস্থায় আইএসের যেসব সিনিয়র সদস্যকে আটক করা হয়েছে, তার মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকে নিজেই খেলাফত ঘোষণা করেছিলেন আবু বকর আল বাগদাদি।
২০১৯ সালে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে হত্যা করা হয় তাকে। কয়েক বছর আগেই সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের বেশির ভাগ এলাকা থেকে তাদেরকে উৎখাত করা হয়। তবে পশ্চিমা সামরিক কর্মকর্তাদের হিসাবে এখনও এই দুটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছে আইএসের কমপক্ষে ১০ হাজার সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোয়েল হারপার বলেছেন, যদিও আমরা একটি সুনির্দিষ্ট অভিযান নিয়ে মন্তব্য করছি না, তবু ইরাকে আমাদের সাহসী অংশীদারদের প্রশংসা করছি।
কারণ, তারা নিয়মিতভাবে আইএসের অবশিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে গঠনমূলক অভিযান পরিচালনা করছে। সামি জসিমকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব কথা বলছিলেন।
আইএসের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় ইরাকি নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট। ইরাকে এখনও পুলিশ, সেনাবাহিনী, ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আইএসের বাকি সদস্যরা। শুধু গত বছরের কয়েক ডজন পুলিশ ও যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তারা।