অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় ঘটল এক অমানবিক ঘটনা। এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার আগে পুলিশের গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। তারপর পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁর মাথায় লাথিও মারেন। ৩২ বছরের সেই ব্যক্তি এখন কোমায় আছেন। তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই ব্যক্তির পরিবার অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, এটা যুক্তরাষ্ট্র বা বৈরুতের ঘটনা। পুলিশ তাঁর মাথায় লাথি মারছে। তাঁকে মারছে। এটা কী ধরনের ব্যবহার? এই ঘটনা নিয়ে ভিক্টোরিয়া পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা বিভাগীয় তদন্ত করছে।
মেলবোর্নে গত দুই মাস ধরে কঠোরভাবে লকডাউন চালু করা হয়েছে। পুলিশের হাতে প্রচুর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এমনকী লকডাউন ভেঙে কেউ বেরলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে, প্রয়োজনে গুলিও চালাতে পারে। তবে ওই ব্যক্তি লকডাউন ভাঙেননি। তিনি একটি হাসপাতালে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করাতে গেছিলেন। হঠাৎ হাসপাতাল ছেড়ে চলে আসায় পুলিশকে ডাকে কর্তৃপক্ষ।
টিভি চ্যানেল সেভেন নিউজ যে ভিডিও দেখিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাত নাড়তে নাড়তে যাচ্ছেন। তাঁর পেছনে পেছনে পুলিশের গাড়ি যাচ্ছে। তিনি খুব আস্তে আস্তে হাঁটছিলেন। তখন পুলিশের গাড়ি তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভদ্রলোক রাস্তায় পড়ে আছেন। তিনি যাতে উঠতে না পারেন, তার জন্য একজন পুলিশ অফিসার মাথায় লাথি মারতে যাচ্ছে। বাকি পাঁচজন কর্মকর্তা তাঁকে চেপে ধরে আছে।
এই ঘটনায় নিয়ে ভিক্টোরিয়া পুলিশের বক্তব্য, ওই ব্যক্তি বিচিত্র আচরণ করছিলেন। তিনি এক পুলিশ অফিসারের ওপর পেপার স্প্রে করেন। তারপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেপ্তার করার আগে ওই ব্যক্তি সহিংস হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। পুলিশের গাড়িও ভাঙার চেষ্টা করেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন