English

22.4 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

অস্ট্রিয়ায় পুরানো ট্রেন চালু রাখতে অভিনব উদ্যোগ

- Advertisements -

ভারতের দার্জিলিং বা সিমলার টয় ট্রেন পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। অস্ট্রিয়ার ছোট এক শহরে কিছু মানুষের উদ্যোগে বহু পুরানো স্টিম ইঞ্জিন ও ট্রেন চালানো হচ্ছে। তবে তার জন্য কম পরিশ্রম করতে হয় না।

অস্ট্রিয়ার ভ্যোর্ট হ্রদের কাছে সাংক ভাইট শহরের এক সংঘ ১৯৯০ সাল থেকে ক্যারিন্থিয়া প্রদেশের পুরানো স্মৃতিবিজড়িত রেল সংরক্ষণের ব্রত নিয়েছে। সংঘের সংগ্রহের এক স্টিম ইঞ্জিন এবার অন্য একটি জায়গায় চালানো হবে। হ্যারবার্ট চুদনিশ ও তার দুই পুত্র মিশায়েল ও টোমাসকে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।

হ্যারবার্ট বলেন, ‘‘আমাদের গ্রীষ্মের ছুটির শুরুতে যানগুলি পুরোপুরি চালু আছে কিনা, সে দিকে নজর দিতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ আগেই শেষ করতে হবে। শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকেই সব কিছু প্রস্তুত করলে চলবে না, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। কামরার মধ্যে সিট ছেঁড়া হলে চলবে না, কোনায় সব ঝুল দূর করতে হবে। যাত্রীরা যেন আমাদের সঙ্গে ভ্রমণ করে খুশি হন।”

ট্রেনটিকে প্রস্তুত করে গন্তব্যে নিয়ে যাবার আগে শেষবার সবকিছু পরীক্ষা করা হচ্ছে। নিরাপদ ও সুখকর যাত্রার জন্য মিশায়েলকে তেলের আধার ভরে ফেলতে হবে। ড্রাইভ লিংকেজের বিঘ্নহীন কাজের জন্য তেল অত্যন্ত জরুরি। তারপর কাঠ আর কয়লা দিয়ে স্টিম ইঞ্জিন চালানো হয়। এক ঘণ্টার যাত্রার পর গন্তব্য ভাইৎসেল্সডর্ফের ইঞ্জিনের শেড। সেখানে ইঞ্জিনের মেরামতি হয়।

রেল ইঞ্জিন চালক হিসেবে হ্যারবার্ট চুদনিশ বলেন, ‘‘এই জায়গাটির দায়িত্ব পেতে আমরা সফল হয়েছি। দুটি রুটের মাঝে কেন্দ্রীয় জায়গায় আমরা আছি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভবন, কারণ শীতকালে যন্ত্রগুলিকে আবহাওয়া ও বরফের থাবা থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় দিতে হয়।”

সেখানেই স্টিম ইঞ্জিন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা জমা রাখা হয়। প্রত্যেক মৌসুমে প্রায় ২৫ টন কয়লা লাগে। তবে অতীতের তুলনায় সেই কয়লায় গন্ধকের অনুপাত কম থাকায় বাতাসে বস্তুকণার মাত্রাও কমে গেছে।

সদ্য সংস্কার করা স্টিম ইঞ্জিনের প্রথম যাত্রা শুরু হচ্ছে। তবে স্বেচ্ছাসেবক ছাড়া সেটা সম্ভব হতো না। ডাভিড মিকেল ও নিকো বেগুশ নামের দুই বন্ধু এরই মধ্যে সবকিছু ভালোই রপ্ত করে ফেলেছে। তার পরের দিনই ইঞ্জিন চালু করা হলো। সঙ্গে কামরাগুলিও লাগানো হলো। তারপর মরসুমের প্রথম যাত্রীরা আসতে শুরু করলেন। নিকোও কয়লা ঢালার ব্যক্তির সহকারী হিসেবে পুরোপুরি কাজে লেগে পড়লো।

অস্ট্রিয়ার শেষ স্টিম ইঞ্জিনগুলির একটি দিয়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে যাত্রা শুধু যাত্রীদের জন্যই অনন্য অভিজ্ঞতা নয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন