যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার ও বহিষ্কারের পর এবার তাদের জন্য ফেডারেল সুবিধা বন্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ফ্লোরিডা থেকে হোয়াইট হাউজে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স-ওয়ানে তিনি এই আদেশে স্বাক্ষর করেন। নতুন আদেশ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীদের মাধ্যমে জন্ম নেয়া শিশু-কিশোররাও আর কোনো ফেডারেল সুবিধা পাবে না। এতদিন এদের চিকিৎসা ও শিক্ষা সুবিধা ছাড়াও ট্যাক্স রিটার্নের ভর্তুকির চেক ইস্যু করা হতো।
নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, বস্টন, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগোসহ বেশ কয়েকটি শহর এবং ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন, ইলিনয়, ভারমন্টসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যকে স্যাঙ্কচ্যুয়ারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার বা বহিষ্কারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়। বরং তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো নানা সুবিধা প্রদান অব্যাহত ছিল। ট্রাম্পের এই নতুন আদেশে স্যাঙ্কচ্যুয়ারি সিটির সুবিধা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের সঠিক সংখ্যা এবং অবস্থান খুঁজে বের করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
‘দ্য ফেডারেশন ফর আমেরিকান ইমিগ্রেশন রিফর্ম’ এর তথ্যমতে, প্রতি বছর ফেডারেল সরকার অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ৬৬.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। সংগঠনটি মনে করে, এই অর্থ সাশ্রয় করা গেলে স্বল্প আয়ের আমেরিকানরা সরাসরি উপকৃত হবে। ট্রাম্পের পদক্ষেপকে অভিবাসন-বিরোধীরা স্বাগত জানালেও অনেক আমেরিকান এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট-ইপসোস পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৭% আমেরিকান মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। অন্যদিকে, ৪৩% তার কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়েছেন। অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার ও বহিষ্কার এবং প্রশাসন থেকে অপ্রয়োজনীয় জনবল ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ২৭%।
তবে ইলোন মাস্কের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই অসন্তোষ জানিয়েছেন। তাদের মতে, ইলোন মাস্ক প্রশাসনের কার্যক্রমকে ব্যাহত করছেন। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে অবৈধ অভিবাসীদের উপর চাপ বাড়লেও তার সমর্থকদের মধ্যে বিষয়টি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।