অবশেষে জার্মানির শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র পৌঁছালো ইউক্রেনে। এই অস্ত্রের সাহায্যে ৪০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারবে ইউক্রেন।
দীর্ঘদিন ধরে জার্মানির কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র চাইছিল ইউক্রেন। গত সপ্তাহে জার্মানি জানিয়েছিল, তারা সেই অস্ত্র ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। মঙ্গলবার সেই অস্ত্র পৌঁছেছে ইউক্রেনের হাতে। অন্যদিকে, এদিনই জার্মান সরকার ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্রের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক হাউইৎজার পেয়েছে ইউক্রেন। প্যানসারহাউবিৎসা ২০০০ জার্মানির তৈরি একটি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। স্বয়ংক্রিয় এই হাউইৎজারে প্রপেলার লাগানো আছে। যার সাহায্যে ৪০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই রকেট। ইউক্রেনের হাতে এমন একাধিক রকেট তুলে দিয়েছে জার্মানি। এছাড়াও নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনকে পাঁচটি হাউইৎজার দিয়েছে।
জার্মান অস্ত্র পাওয়ার পরে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। টুইট করে করে তিনি জানিয়েছেন, জার্মান অস্ত্র পাওয়ার পরে ইউক্রেনের অস্ত্রাগার অনেক শক্তিশালী হলো।
সাতটি হাউইৎজারের পাশাপাশি ইউক্রেনকে ১৪ হাজার ৯০০ ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী মাইন দিয়েছে জার্মানি। দেয়া হয়েছে ৫০০টি স্টিংগার এয়ার ডিফেন্স মিসাইল। দুই হাজার ৭০০টি অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইলও আছে তালিকায়। এরসঙ্গে ১৬ মিলিয়ন রাউন্ড হ্যান্ড গানের কার্তুজ দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনকে। রয়েছে হ্যান্ড গ্রেনেডও। এছাড়া সেনাবাহিনীর জন্য পাঠানো হয়েছে গাড়ি, স্লিপিং ব্যাগ এবং টেন্ট।
দীর্ঘদিন ধরেই জার্মানির কাছে বিধ্বংসী অস্ত্র চাইছিল ইউক্রেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে জার্মানি তা দিতে অস্বীকার করেছিল। জার্মানির বক্তব্য ছিল, শক্তিসাম্য বজায় রাখতেই জার্মানি ওই পথ নিয়েছিল। কিন্তু জার্মানির ওই পদক্ষেপ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে। ইউক্রেন প্রকাশ্যে জার্মানিকে ভর্ৎসনা করেছে। ন্যাটোর অন্য দেশগুলিও জার্মানির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। শেষপর্যন্ত বহু প্রতিক্ষিত জার্মান অস্ত্র পৌঁছালো ইউক্রেনে।