যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ২৬ বছর বয়সি এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই তরুণীর দাবি, ওই ব্যক্তি তার ছেলেবন্ধু এবং সে তার সঙ্গে প্রতারণা করছিল।
এ ঘটনা ঘটে ৩ জুন রাত সাড়ে ১২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপোলিসের টিলিস নামক পাব ক্লাবের পার্কিংয়ে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যে এক নারী অ্যাপলের ট্র্যাকিং ডিভাইস এয়ারট্যাগ ব্যবহার করে তার বয়ফ্রেন্ডকে একটি বারের সামনে খুঁজে পান। এ সময় ওই তরুণী তার বয়ফ্রেন্ডকে অন্য এক নারীর সঙ্গে দেখার পর গাড়ি দিয়ে তিনবার ধাক্কা দিয়ে হত্যা করেন। গ্যালিন মরিস ও তার কথিত বয়ফ্রেন্ড আন্দ্রে স্মিথ উভয়ের বয়সই ২৬।
ইন্ডিয়ানাপোলিস মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ জানায়, কর্মকর্তারা আসার পর দেখেন, স্মিথ একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে আছেন। মনে হচ্ছে তিনি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্মিথকে এয়ারট্যাগের মাধ্যমে মরিস কীভাবে খুঁজে পেয়েছেন তা তাকে বলেছেন।
ওই নারীকে মরিস আরও জানান, স্মিথ তার বয়ফ্রেন্ড ছিলেন এবং সে তার সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন।
এর পর মরিস একটি মদের খালি বোতল নিয়ে স্মিথের সঙ্গে থাকা নারীকে মারতে যান। কিন্তু স্মিথের কারণে সেটি ওই নারীর গায়ে আঘাত করেনি।
একটু পর, তিনজনকেই ওই বারের কর্মীরা বের হয়ে যেতে বলেন।
অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকে জানান, তিনি দেখেছেন স্মিথকে মরিস পার্কিং এরিয়ায় টেনে এনে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিচ্ছেন।
পরে মরিস গাড়ি থেকে বের হয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ওই নারীর দিকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু পথে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
রোববার রাতে, মরিসকে ম্যারিয়ন কাউন্টি জেলে নেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ম্যারিয়ন কাউন্টির প্রসিকিউটরের কার্যালয় এ অভিযোগের বিষয়ে মূল্যায়ন করবে এবং অতিরিক্ত কোনো অভিযোগ আনা হবে কিনা তা দেখবে।
আইন ও অপরাধ বিষয়ক ওয়েবসাইট ল অ্যান্ড ক্রাইম জানায়, সন্দেহভাজন ওই নারীকে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আদালতে তোলা হবে।