ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের। সেখানে কিশোরী বয়সী একটি মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল এক যুবকের। কিন্তু ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই ঘর ছাড়ে ওই যুবক। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর কোনও খোঁজ পায়নি। ছেলেকে খুঁজে আনা হবে বলে গর্ভবতী ওই নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান বাবা। এরপর কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও অভিযোগ, এমনকি সে মা হওয়ার পরেও অভিযুক্ত জোর করে তার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করত। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতার বক্তব্য, তার এক বান্ধবীকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০২০ সালের অগস্টে থানায় একটি অভিযোগ করে নির্যাতিতা। সে জানায়, তার বয়স ১৭ বছর। রনি রাজোনিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ায় সে। তাদের বিয়ে দেবে বলে রনির বাবা-মা দু’জনকে এক বাড়িতে থাকতে দেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর রনি আচমকাই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। অভিযোগকারিণী তখন অন্তঃসত্ত্বা।
তবে ছেলেকে খুঁজে বের করা হবে, এই কথা বলে নিজের বাড়িতেই তাকে রাখেন রনির বাবা। তার পর দিনের পর দিন চলে তার উপর যৌন নির্যাতন। ভয়ে প্রথমে কিছু বলতে পারেনি সে। পুলিশকে নির্যাতিতা আরও জানিয়েছে, তার সন্তান হওয়ার পরেও জোর করে যৌন সম্পর্ক করতে থাকেন রনির বাবা। এমনকি তার এক বান্ধবীকেও ধর্ষণ করেন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে রনিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। আগেই তার বাবা-সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।