পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে আনা এক অনাস্থা প্রস্তাবের কারণে দেশটিতে এক রাজনৈতিক সংকট দানা বাঁধছে। এমাসের শুরুর দিকে বিরোধীদলগুলোর একটি জোট এই অনাস্থা প্রস্তাব আনে। এই জোট বলছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি থেকে একদল এমপি বেরিয়ে যাবার পর তিনি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। আগামী শুক্রবার পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবটির ওপর ভোট হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে পরোক্ষ ইঙ্গিত দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিতে রাজনৈতিক দলগুলো তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে।
এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশোধ নিতে চায় বলে তিনি জানিয়েছেন। তার দাবি, পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। এ কারণেই এখন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোকে তার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হচ্ছে।
ইমরান খান বলেন, ‘যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন তা সঠিক। পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তি হচ্ছে জনকল্যাণ।’ উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে এটিই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য এটিই সবচেয়ে কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষা বলে অনেকেই ধারণা করছেন। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই ইমরান খান দক্ষিণ এশিয়া ইস্যুতে মার্কিন নীতির সমালোচনা করে আসছেন।