কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ট্রাকচালকদের বিক্ষোভের মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার পরিবার বাড়ি ছেড়েছেন। বর্তমানে তারা গোপন স্থানে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে চলাচলকারী ট্রাকচালকদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার পর বিক্ষোভটি শুরু হয়। করোনা টিকার ব্যাপারে কড়া অবস্থান থেকে সরকারকে সরে আসার দাবিতে অটোয়ায় দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে বিক্ষোভ।
দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল এক প্রতিবেদনে বলছে, অটোয়ায় ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামক আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক শিশুও রয়েছে। বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের দেখা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কেউ কেউ কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আক্রমনাত্মক এবং অশ্লীল চিহ্ন সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেছেন।
অটোয়ায় বিক্ষোভের সময় একজন সেনা সদস্যের ভাস্কর্যের উপর দাঁড়িয়ে এক নারীর নাচের ভিডিওসহ বেশ কিছু ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছেন, ঘটনাগুলো নিন্দনীয়।
অটোয়া পুলিশ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, রাজধানী শহরে সেনা সদস্যের ভাস্কর্যের উপর দাঁড়িয়ে এক নারী নাচের মাধ্যমে স্মৃতিস্তম্ভ অপবিত্র করেছেন। এছাড়া পুলিশ থেকে শুরু করে শহরের কর্মী এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের প্রতি অবৈধভাবে হুমকি ও ভীতিকর আচরণ এবং গাড়ির ক্ষতির ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।
শহর তো বটেই, দেশটির সংসদ ভবনের বাইরের রাস্তা বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারী ট্রাকচালকরা। এ ব্যাপারে অটোয়া শহরের মেয়র জিম ওয়াটসন বলেন, কিছু বিক্ষোভকারী একটি স্যুপের দোকানের কর্মীদের হয়রানি করেছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা বিনামূল্যে খাবারের দাবি করেছিল। তবে রেস্তোরাঁর ভেতর বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে না থাকায় কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে খাবার দিতে অস্বীকার করে। তখন বিক্ষোভকারীরা সেখানকার কর্মীদের হেনস্তা করেন।
প্রসঙ্গত, কানাডা সরকার গত ১৫ জানুয়ারি আন্তসীমান্ত ট্রাকচালকদের করোনার টিকা নেওয়ার ব্যাপারে আদেশ জারি করে।
ওই আদেশে বলা হয়, কানাডায় টিকা না নেওয়া ট্রাকচালকরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফিরলে প্রতিবার কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তার বিরোধিতা করে মাঠে নামেন ট্রাকচালকরা।