English

24 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

অংকে তো বটেই, নিজ ভাষায়ও চরম কাঁচা ব্রিটিশ এমপিরা

- Advertisements -

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট মেম্বারদের (এমপি) জন্য একটি পরীক্ষার আয়োজন করেছিল দেশটির ‘মোর দেন আ স্কোর’ নামের একটি প্রচার গ্রুপ। চলতি মাসের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় ব্রিটিশ এমপিরা যে ফলাফল অর্জন করেছেন, তা দেখে হতাশ হতে পারেন যে কেউই।

পরীক্ষায় অংকে ফেল করেছেন অর্ধেকের বেশি এমপি। তাছাড়া, নিজেদের ভাষা ইংরেজির অবস্থা আরও খারাপ। ব্যাকরণ তো বটেই, বানান ও যতি চিহ্নের ব্যবহারেও খুব অদক্ষ অধিকাংশ এমপি।

জানা যায়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির অংক-ইংরেজির ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাতে অংশ নেওয়া ৪৪ শতাংশ আইনপ্রণেতা অংকে পাস করেননি। অনেকে কোনোমতে পাস নম্বর পেয়েছেন। ইংরেজিতে পাস করেছেন মাত্র ৫০ শতাংশ, যা খুবই লজ্জাজনক বলে মনে করছেন দেশটির সাধারণ নাগরিকরা।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এ বছর ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষায় ইংরেজি-অংকে পাস করেছে দেশটির ৭২ ও ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী। কিন্তু সে তুলনায় ধারেকাছেও নেই দেশটির আইনপ্রণেতারা।

এ বছর পুরো ইংল্যান্ডে ১০ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা স্যাট (এসএটিএস) পরীক্ষায় অংশ নেবে। মূলত, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা বাতিল ও এসব পরীক্ষা দিতে গিয়ে বাচ্চাদের মানসিক অবস্থা বোঝানোর উদ্দেশ্যেই ওয়েস্টমিনস্টারে এ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।

ব্রিটিশ এমপি এমা হার্ডি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা নেওয়া খুব দরকার। যাতে আমরা বাচ্চাদের পরিস্থিতিটা বুঝতে পারি। এ পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বাচ্চাদের ওপর আসলে কতটা চাপ থাকে।

এ পরীক্ষায় প্রার্থী হিসেবে ছিলেন দেশটির কনজার্ভেটিভ পার্টির এমপি ও শিক্ষা নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান রবিন ওয়াকারও। সঙ্গে ছিলেন, তার দলের সদস্য ফ্লিক ড্রুমন্ড, গগণ মাহিন্দ্রা। আরও ছিলেন লেবার পার্টির সদস্য ইয়ান বার্নি, ইম্মা লিওয়েল-বাক ও গ্রিন পার্টির লেডি বেনেট প্রমুখ।

পরীক্ষা সম্পর্কে ইয়ান বার্নি বলেন, পরীক্ষাটি এক কথায় ভয়ংকর ছিল। বাচ্চাদের ওপর এ ধরনের মানসিক চাপের প্রভাব খুবই নেতিবাচক।

‘মাত্র ১০-১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য স্যাটস বা এসএটিএস পরীক্ষা না রাখাটাই ভালো। আনন্দের বিষয় হলো, আমাদের অনেক এমপি এ ধরনের পরীক্ষার চাপ অনুভব করতে পেরেছেন।’

এদিকে, রবিন ওয়াকার ১০-১১ বছর বয়সীদের জন্য পরীক্ষা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার স্বীকার করেন। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে বাদ দিতে চান না।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা হিসেবে পরীক্ষা থাকা দরকার। পরীক্ষা কেবল একটি যাচাই পদ্ধতি নয়, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কেমন সেটা বোঝারও অন্যতম মাধ্যম।

ওয়াকারের মন্তব্যকে সমর্থন করে ফ্লিক ড্রুমন্ড বলেন, পরীক্ষাটি অনেক জটিল ছিল। বিশেষ করে, ব্যাকরণ পরীক্ষায় অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন ছিল। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা উচিত, তবে এত জটিলভাবে নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু পরীক্ষায় পাসের জন্য শিক্ষিত করবো এমনটা নয়। আমাদের উচিত, শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ ও ভালোবাসা তৈরি করে দেওয়া।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন