গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। দীর্ঘ সাড়ে আট মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ ওই উপত্যকাকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করেছে ইহুদিবাদী সেনারা। বাড়িঘর, মসজিদ, গির্জা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের বর্বরতায় ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে উপত্যকাজুড়ে। এর মধ্যেই গাজায় আরেকটি নৃশংসতা দেখল বিশ্ববাসী। উত্তর গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৬৬ বছর বয়স্ক এক ফিলিস্তিনি নারীর ওপর কুকুর লেলিয়ে দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক্সে হ্যান্ডলে প্রকাশিত ভিডিওটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থাপিত ক্যামেরা থেকে ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা যায়, ইসরায়েলি বাহিনীর কুকুরটি এক ফিলিস্তিনি নারীকে তার বাড়ির ভেতরেই কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করছে।
দাওলত আবদুল্লাহ আল তানানি নামের ওই নারীর ওপর যখন কুকুরটি হামলা করে, তখন তিনি নিজের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেখানেই তার ওপর কুকুরটি ঝাঁপিয়ে পড়ে। কুকুরটি তাকে কামড়ায়, আঘাত করে। এতে রক্তপাতও ঘটে।
ওই নারী বলেন, “কুকুরটি আমাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির গেটের কাছে নিয়ে আসে।”
তিনি বলেন, “আমি বাড়ি থেকে বের হতে অস্বীকার করেছি। আমি বাড়িটি খালি করব না। ফলে ইসরায়েলিরা আমার ওপর কুকুর লেলিয়ে দেয়।”
তিনি বলেন, তিনি কুকুরের কামড়ের যন্ত্রণা এখনও পোহাচ্ছেন। কোনও ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হুসাম জুমলত এক্সে বলেন, “জাবালিয়া সিটিতে নিজ বাড়িতে ৬৬ বছর বয়স্ক এক ফিলিস্তিনি নারীর ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কুকুরের হামলা ও মারাত্মকভাবে কামড়ের ফুটেজটি ভয়াবহ।”
ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল- প্যালেস্টাইন (ডিসিআইপি) ফেব্রুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে জানায়, পশ্চিম তীরে ৪ বছর বয়স্ক এক ফিলিস্তিনি শিশু ইব্রাহিম হাসাশের ওপর কুকুর লেলিয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
কুকুরটি ওই অ্যাপার্টমেন্টে প্রবশে করে এবং ইব্রাহিমকে তার মায়ের কোল থেকে নামিয়ে আক্রমণ করে। কুকুরটি তার পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, দেহের বিভিন্ন অংশে কামড়ায়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরায়েলি বাহিনী প্রায়ই ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সামকির কুকুর লেলিয়ে দেয়।