৩ হাজার আগেও নেশা করত মানুষ! সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে (প্রাকৃতিক বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা প্রকাশ করে) প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণার এমনই এক তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কবরস্থান থেকে পাওয়া চুল থেকে প্রাচীন যুগের মানুষের গাছপালা থেকে প্রাপ্ত ওষুধ ব্যবহারের নমুনা পাওয়া গেছে। যা তাদের ঘোরের মধ্যে রাখত। উদ্ভট আচরণ প্ররোচিত করত। তারা মনে করছেন ওষুধগুলো গুহায় অনুষ্ঠিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে। এতে জড়িত থাকত শামানরা (আদিবাসী : যারা উদ্ভিদের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।)
বিজ্ঞানীরা গুহায় কিছু পুরোনো জং ধরা তালা খুঁজে পায়।
তালাগুলো (আচারের সময় ব্যবহার করা হতো) বিশ্লেষণ করে তিনটি সাইকোঅ্যাকটিভ পদার্থ অ্যাট্রোপাইন, স্কোপোলামিন এবং এপিড্রিন শনাক্ত করা হয়। যেগুলো হ্যালুসিনেশনকে প্ররোচিত করে।
গবেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন, গুহার ঢাকনাগুলোতে খোদাই করা সর্পিল চিত্রসহ কিছু পাত্র পাওয়া গেছে। তারা হ্যালুসিনোজেনগুলোর প্রভাবে থাকাকালীন একজন ব্যক্তির চেতনার পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে এই খোদাই করা পাত্রগুলোকে যুক্ত করেছেন। ইউরোপে প্রাগৈতিহাসিক যুগে ড্রাগ ব্যবহারের পূর্ববর্তী গবেষণা গুলিও অপ্রত্যক্ষ প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। যেমন বিভিন্ন শৈল্পিক চিত্রে ড্রাগ গাছের উপস্থিতি।