দীর্ঘ সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর মাঝেই দুই দিনের সফরে উত্তর কোরিয়ায় গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় আজ বুধবার প্রথম প্রহরে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পুতিনকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন।
এ সময় পুতিনকে বহনকারী উড়োজাহাজের পাহারায় অন্তত একটি যুদ্ধবিমান ছিল।
উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে গতকাল মঙ্গলবার পূর্ব সাইবেরিয়ার শহর ইয়াকুতস্কে যান পুতিন। সেখান থেকে তিনি উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
পুতিন সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া সফরে এসেছিলেন ২৪ বছর আগে ২০০০ সালের জুলাইয়ে। দীর্ঘ দুই যুগ পর উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজ দেশটিতে সফরে এসেছেন পুতিন।
পুতিনের সঙ্গে সফরে দেশটির বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদল রয়েছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পুতিনের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।
তিনি বলেন, চুক্তিটি দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে। গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে যা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেই এই চুক্তি সই করা হবে। তবে এ চুক্তি সরাসরি কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না।
এদিকে পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। পুতিনের এ সফর নিয়ে গত শুক্রবার মার্কিন উপ-রাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন। দক্ষিণ কোরিয়ার শঙ্কা, পুতিনের সফরের ফলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়বে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন।