গত ৫ অক্টোবর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এবার একই ইস্যুতে প্রশ্ন তুললেন ভারতেরই পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে হেমন্ত সোরেনকে অভিযুক্ত করেন অমিত শাহ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয় পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে অমিত শাহর প্রতি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেছিলেন, আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে আপনার ভোটব্যাংক বানিয়েছেন। আজ আমি ঝাড়খণ্ডের জনগণকে জানাতে চাই, তুষ্টির রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেবে এবং ঝাড়খণ্ডকে প্রথম থেকে পুনর্গঠন করবে।
অমিত শাহের এ মন্তব্যের জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, কীসের ভিত্তিতে হাসিনাকে ভারতে আশ্রয়ে দিয়েছে মোদি সরকার? শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার কেন এখানে নামতে দিলেন? আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া আছে কিনা?
সোরেনের দাবি, ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে, আর রাজ্যের মানুষ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কারণে সৃষ্ট দূষণ মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ রোধ করা কি কেন্দ্রের দায়িত্ব নয়? এতে রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। অনুপ্রবেশকারীরা আপনার (বিজেপি) শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে। আপনি সেখানে অনুপ্রবেশ খতিয়ে দেখেন না কেন?
উল্লেখ্য, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন দু’টি ধাপে ১৩ ও ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা করা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। বিজেপিবিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অধীনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ঝাড়খণ্ডের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল জেএমএম।