একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বাবা-মা। সেই হতাশা থেকেই শেষ পর্যন্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তারা। দুই মাস আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ওই দম্পতির মেয়ে অদ্রিতার মৃত্যু হয়।
প্রথমে অদ্রিতার সঙ্গে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তার মা। পরে ২৭ জুলাই আত্মহত্যা করেন তিনি। গত ১ আগস্ট অদ্রিতার বাবা সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন। এরপর স্ত্রীর মতোই গামছা গলায় লাগিয়ে ফাঁস নেন তিনি। তিনি একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার পুপু প্রিয়তমকে ভালোবাসি’। সোমবার সকালে নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সালানপুরের আইসি অমিত বলেছেন, পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় রঞ্জন মণ্ডল (৪২) আত্মহত্যা করেছেন। তার পাশে একটি সুইসাইড নোট পড়েছিল।
রঞ্জনের ভাই অমরজিৎ মণ্ডল বলেন, আমার বড় ভাই রঞ্জন এবং তার স্ত্রী রাজশ্রীগীতার ১১ বছরের একটি মেয়ে ছিল। তার নাম অদ্রিতা। কিন্তু আদর করে তাকে ‘পুপু’ ডাকতেন তারা। গত ২ জুন আমার ভাবি ও তার মেয়ে মেদিনীপুরে আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি তেলের ট্যাঙ্কার তাদের ধাক্কা দেয়। অদ্রিতা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এরপরই শোকার্ত বাবা-মা প্রায়ই শ্মশান ঘাটে যেতেন।
বাচ্চাদের অবস্যই হাতে কলমে রাস্তা পারাপার শেখানো উচিত।