নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান অ্যাগট তার স্ত্রী ইগুইনকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন। গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের মৃত্যু হয়। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, অ্যাগট ও তার স্ত্রীর এই স্বেচ্ছামৃত্যু নেদারল্যান্ডসে দম্পতি বা যুগলদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, তারই উদাহরণ।
দ্রিস ভ্যানের প্রতিষ্ঠিত একটি অধিকার সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির পরিচালক জেরার্ড জোনকম্যান সংবাদমাধ্যম এনওএসকে বলেছেন, গত সপ্তাহে তারা হাতে হাত রেখে দুনিয়া ত্যাগ করেছেন।
জেরার্ড জোনকম্যান আরও জানান, ২০১৯ সালে দ্রিস ভ্যানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অসুস্থই ছিলেন কিন্তু তিনি তার স্ত্রীকে রেখে আগে চলে যেতে চাইছিলেন না। পরবর্তী সময়ে তারা একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, দ্রিস ভ্যান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক আপিল পার্টির নেতা ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে ক্যাথলিক খ্রিস্টান হলেও, তিনি সবসময় নিজের মতো করেই চলেছেন।
২০২০ সালে ২৬ নেদারল্যান্ডসে কোনো দম্পতিকে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরের বছরেই ৩২ জন যুগল এমনভাবে মৃত্যুবরণ করেন। আর ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫৮টি যুগল।
নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা সাহায্য নিয়ে আত্মহত্যার অনুমতি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ছয়টি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো- আগ্রহী ব্যক্তিদের অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে কিংবা নিরাময় হবে না এমন কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত থাকতে হবে। সার্কিব পরিস্থিতি যাচাই-বাছাইয়ের পর আগ্রহী ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হবে ও তাতে সহযোগিতা করবেন পারিবারিক চিকিৎসক।