সিংগাপুরের শ্রমবাজার নিয়ে আবারও নোংরা খেলায় মেতেছে একটি অসাধু চক্র। প্রতারণা করে কর্মী পাঠানোসহ নানা বিষয়কে আড়াল করে জনশক্তি রপ্তানি করতে চাইছে ঐ চক্রটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের কাজের জন্য অতীতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নষ্ট হয়েছে। এবারও একই প্রচেষ্টা সফল হলে সিংগাপুরের মতো বাজারটি ইমেজ সংকটে পড়বে।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, এনওসি স্থগিত রাখার পরও প্রগ্রেসিভ বিল্ডার্স নানা ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের সহায়তায় তারা ওয়েসিস এর পরিবর্তে মাজ ওভারসিস নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে পার্টনার দেখিয়ে সিংগাপুরে কর্মী প্রেরণের জন্য পুনরায় আবেদন করেছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বিষয়ে বিএমইটির মহাপরিচালকের মতামত চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইত্তেফাককে জানান, যে কোনো বিষয়ে সুবিধা চেয়ে যে কেউ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারেন। এ বিষয়ে গাইডলাইন আছে। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে যাচাই বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। সুতরাং যে কেউ আবেদন করলেই যে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ পাবে—এমন কথা ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন ২০১৮ এর ১২ এবং ১৪ ধারা অনুযায়ী সিংগাপুরের কোম্পানির এনওসি পরিবর্তনসহ যে কোনো বিষয়ে বিবাদ দেখা দিলে তা মীমাংসা না করা পর্যন্ত নতুন এনওসি নিতে পারবে না। এটি জানার পরও মন্ত্রণালয়ের একটি অসাধু মহল তড়িঘড়ি করে প্রগ্রেসিভকে সিংগাপুরে কর্মী প্রেরণের এনওসি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে স্বয়ং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও বিস্মিত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন না মেনে তড়িঘড়ি করে যদি প্রগ্রেসিভকে সিংগাপুরে কর্মী প্রেরণের এনওসি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেটিও আদালত পর্যন্ত গড়াবে বলে শঙ্কা রয়েছে। ফলে সিংগাপুরে জনশক্তি রপ্তানি একটি বড় ইমেজ সংকটে পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।