বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের মধ্যপ্রদেশে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বীনা জেলার পেট্রোকেমিকেলসহ মোট ১০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদী। আর সেই সঙ্গেই কার্যত আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সূচনা করেন তিনি।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, তারা দেশকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।
চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার পেট্রোকেমিকেল প্রকল্পের উদ্বোধনে যোগ দিতে গিয়ে মোদী বিরোধী জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ (অহংকারী) বলে খোঁচা দেন।
তিনি বলেন, ঘমন্ডিয়া জোট সম্প্রতি মুম্বাইয়ে বৈঠক করেছে। তাদের না আছে কোনো নীতি, না কোনো কর্মসূচি, না কোনো নেতা। তাদের সনাতন ধর্মকে আঘাত করার গোপন ছক রয়েছে। সনাতন ধর্মকে তারা ধ্বংস করতে চায়।
সনাতন ধর্মকে অপমান করার অভিযোগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা।
এই আবহে মোদী যেভাবে, পুরো বিষয়টিকে সুকৌশলে ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, কংগ্রেসের কমল নাথ, কেসি বেনুগোপালের মতো ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন, কোনো ধর্মের প্রতি অবমাননা তারা সমর্থন করেন না।
গত ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স’)-র আত্মপ্রকাশের পরেই অবশ্য ধারাবাহিকভাবে খোঁচা দিয়ে চলেছেন মোদী।