লেবাননের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রথমে বিমান হামলা চালানোর পর এখন চলছে স্থল অভিযান। তাদের দাবি, লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে এই অভিযান। তবে এখন পর্যন্ত হামলায় আড়াই হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। “ভয়াবহ গুলিবিনিময়ে” বেসামরিকরা যেন আক্রান্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
ব্লিংকেন জানান, এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সীমান্ত সংঘাত প্রতিরোধ করতে এবং লেবাননে একটি কূটনৈতিক সমাধান আনতে ওয়াশিংটন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ব্লিংকেন বলেছেন, ‘লেবাননের ভবিষ্যৎ লেবাননের জনগণকেই ঠিক করতে হবে, বাইরের কেউ তা করতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, নিজেদের পেশ করা, দেশ ও দেশের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে লেবাননের জনগণের স্বার্থ, দৃঢ় স্বার্থ রয়েছে। দুই বছর ধরে এই দেশে প্রেসিডেন্টের পদ খালি রয়েছে, দেশে একজন প্রধান থাকা লেবাননের জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা লেবাননের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে, অন্য কেউ নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা পুনরায় বলেছেন, হামাস ও ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।