৫৪ বছর পর চুরি হওয়া একটি চিত্রকর্ম উদ্ধার করতে পেরেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। ধারণা করা হচ্ছে ১৯৬৯ সালে এটি লুট করে নেওয়া হয়েছিল।
৪০ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং ইঞ্চি প্রস্থের এই চিত্রকর্মটি এঁকেছিলেন জন ওপি। চিত্রকর্মটির নাম ‘দ্য স্কুলমিস্ট্রেস’।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছে, ওপির এই কাজটি নিউ জার্সির সাবেক আইন প্রণেতার সহায়তায় চুরি করা হয়েছিল এবং তারপরে এটি দক্ষিণ উটাহর শহর সেন্ট জর্জে পৌঁছানোর আগে বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ডাকাতদলের কাছে ছিল।
উটাহের এক ব্যক্তি ১৯৮৯ সালে ফ্লোরিডায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন এক দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর কাছ থেকে। সে সময় তিনি এই চিত্রকর্মটিও কিনেছিলেন। এফবিআই বলেছে, ঐ ক্রেতা ২০২০ সালে মারা যান। তখন একটি উটাহভিত্তিক অ্যাকাউন্টিং ফার্ম তাদের পাওনা শোধ বুঝে এই চিত্রকর্মটিও বিক্রি করতে চায়। ফলে এটি চুরি যাওয়া চিত্রকর্ম হিসেবে আবিষ্কৃত হয়েছে।
এফবিআই বলেছে, চিত্রকর্মটির মালিকানার সমাধানটি মুলতুবি থাকায় এটি তাদের হেফাজতে ছিল এবং ১১ জানুয়ারি ৯৬ বছর বয়সী ড. ফ্রান্সিস উডের কাছে ফেরত দিয়েছিল। তিনি চিত্রকর্মটির আসল মালিক ড. আর্ল উডের ছেলে। আর্ল উড এটি কিনেছিলেন ১৯৩০ সালে।
এফবিআই-এর মতে, নিউ জার্সি রাজ্যের প্রাক্তন আইন প্রণেতা অ্যান্থনি ইম্পেরিয়ালের নির্দেশে কাজ করা তিনজন লোক আর্ল উডের বাড়ি থেকে ‘দ্য স্কুলমিস্ট্রেস’ চিত্রকর্মটি নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই আইন প্রণেতা যিনি ১৯৯৯ সালে মারা গিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং তাকে কখনই অভিযুক্ত করা হয়নি।
সংস্থাটি বলেছে, যে ডাকাতরা ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে একটি কয়েন সংগ্রহশালা লুট করার জন্য বাড়িতে ঢুকেছিল। কিন্তু অ্যালার্ম বেজে ওঠার কারণে তারা ব্যর্থ হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ এবং ইম্পেরিয়াল এই চুরির চেষ্টায় সাড়া দিয়েছিল এবং বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আইন প্রণেতাকে বলেছিলেন, বাড়িতে ওপির একটি ‘অমূল্য’ চিত্রকর্ম আছে।
এরপর ঐ ব্যক্তিরা সেই মাসের শেষের দিকে বাড়িতে ফিরে আসে এবং চিত্রকর্মটি চুরি করে।
এফবিআই বলেছে, তাদের মধ্যে একজন পরে চুরির কথা স্বীকার করেছে এবং সাক্ষ্য দিয়েছে যে তারা ইম্পেরিয়ালের অধীনে কাজ করছে।