ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়, আর দু-একদিনের মধ্যেই জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে শীত। আর শীত মানেই যেমন জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরা, তেমনই আবার সর্দি-কাশিও বটে। ঋতু পরিবর্তনের সময় বা কনকনে ঠান্ডা হাওয়া লেগে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। তবে এবার সর্দি-কাশি হলে হতে হবে একটু বেশিই সতর্ক। কারণ, বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে আরও এক অতি সংক্রামক রোগ। ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে লেগেই থাকছে সর্দি-কাশি। পরে তা আরও শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি করছে।
সম্প্রতিই ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই অতি সংক্রামক রোগ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ‘১০০ দিনের কাশি’ নামেই পরিচিত এই সংক্রমণ ব্রিটেনে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে। বিগত কয়েক মাসেই এই সংক্রমণ ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি থেকে উপসর্গ দেখা দিলেও পরে তা গুরুতর সংক্রমণের আকার নিচ্ছে। টানা তিন মাস অবধি এই সর্দি-কাশি থাকতে পারে।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সিকিউরিটির তরফে জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের মধ্য়ে ৭১৬টি এই ধরনের সংক্রমণ রিপোর্ট হয়েছে। মূলত ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হচ্ছে। ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
হুপিং কাশি কী?
হুপিং কাশি বা পার্টুসিস হল ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে সংক্রমণ, যা বর্ডেটেলা পার্টুসিস ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায়। শিশুরা এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে, তা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তবে ১৯৫০ সালে এক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধু শিশুরাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও এই সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে। ১০০ দিনের কাশি থেকে হার্নিয়া, পাঁজর ফুলে যাওয়া, কানে সংক্রমণ ও প্রস্রাবে সমস্যাও দেখা দিতে পারে।