যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সাবেক ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার এক বিশেষ নির্দেশে (ডিক্রি) পুতিন স্নোডেনের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করেন।
স্নোডেনকে যুক্তরাষ্ট্র গুপ্তচরবৃত্তি এবং সরকারি তথ্য চুরিতে অভিযুক্ত করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গণ নজরদারির তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস করে দেন তিনি। এই ঘটনার পর হংকং হয়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, স্নোডেন ও তার স্ত্রী লিন্ডসে মিলস ২০২০ সালে রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। ৩৯ বছর বয়সী সিআইএর সাবেক এই ঠিকাদার বর্তমান মস্কোতে বসবাস করছেন। গতকাল নাগরিকত্ব মঞ্জুর হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে রাশিয়ায় স্থায়ী আবাসন দেওয়া হয়।
রাশিয়ার নাগরিকত্ব অনুমোদন হওয়ার পর টুইটারে স্নোডেন লেখেন, ‘১০ বছর নির্বাসন এবং দুই বছর অপেক্ষার পর এটা (নাগরিকত্ব) আমার পরিবারকে সামান্য হলেও স্থিতিশীলতা দেবে। তিনি তার পরিবারের সকল সদস্যের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন। স্নোডেন লেখেন, বাবা-মা থেকে বিগত বছরগুলো যাবত বিচ্ছিন্ন আছি। সন্তানদের থেকে স্ত্রী ও আমার আর বিচ্ছিন্ন থাকার কোনো ইচ্ছা নেই।
২০১৩ সালে স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে আমেরিকান নিরাপত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাজ অ্যালান হ্যামিল্টনের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার ( এনএসএর ঠিকাদার)। এনএসএর ‘টপ সিক্রেট’ শ্রেণির বিপুল পরিমাণ তথ্যের ভান্ডার সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতার অধিকারী
স্নোডেন।
তার দেওয়া প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের জুন মাসে গ্লেন গ্রিনওয়ার্ল্ড গার্ডিয়ানে লিখতে শুরু করেন ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আমেরিকান শাসকদের মাথায় বাজ পড়ে, ক্রোধে ফেটে পড়ে হোয়াইট হাউস। এডওয়ার্ড স্নোডেন হন তার স্বদেশের সরকারের কাছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড আমেরিকান’। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হুলিয়া জারি করে আমেরিকার সরকার।