যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়লেন মার্কিন মুসলিম নারী আইনজীবী। মিশিগানের সলিসিটর জেনারেল ফাদওয়া হাম্মুদ মামলায় আইনি লড়াইয়ে অংশ নিয়ে আলোড়ন তৈরি করেন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট কালামাজুর বাইরে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের মামলার শুনানি হয়। ১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত শুনানিতে অ্যানেট হোয়াইটকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরভিন ডেভেনপোর্টকে অভিযুক্ত করা হয়। গত বছর আদালত ডেভেনপোর্টকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করে। এমন পরিস্থিতিতে সলিসিটর হাম্মুদা মামলায় রাজ্যের অবস্থানের যুক্তি দেখান যে কখন এবং কোন পরিস্থিতিতে ফেডারেল আদালতের পক্ষে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে বিপরীত করা উপযুক্ত। যেন বিবাদীর বিরুদ্ধে সাংবিধানিক লঙ্ঘন বিচারের ফলাফলকে প্রভাবিত করে না।
জেনারেল ফাদওয়া বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে এটি আমার পেশাগত জীবনকে উজ্জ্বল করবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমার রাজ্য ও অ্যাটর্নি জেনারেল আমাকে দেশের সুপ্রিম কোর্টে এ মামলায় লড়বার সুযোগ দিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সামনে আমাদের বিভাগ এবং সরকারি কর্মচারীদের কঠোর পরিশ্রমের কথা তুলে ধরলাম, যারা এই মামলায় কাজ করছেন। আমি কেবল নিজের জন্য উত্তেজিত ছিলাম না, আমি উত্তেজিত ছিলাম যে মিশিগান পুরো জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভূমিকা রাখছে।’
জেনারেল ফাদওয়া হাম্মুদ ২০১৯ সালে মিশিগানের জেনারেল সলিসিটর হিসেবে নিযুক্ত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আইন পেশায় প্রথম মুসলিম সলিসিটর হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল ডানা নেসেল তাঁকে নিয়োগ দেন।
মাত্র ১১ বছর বয়সে হাম্মুদ লেবানন থেকে মিশিগানে পাড়ি জমান। ডেরবর্নের ফোর্ডসন হাইস্কুলে পড়াশোনা করে তিনি ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ওয়েনি স্টেট ইউনিভার্সিটির ল স্কুলে পড়াশোনা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য আদালতের ক্লার্ক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে তিনি মিশিগানের ওয়েন কাউন্টিতে প্রসিকিউটিং অ্যাটর্নি হিসেবে বিভিন্ন মামলায় বড় ভূমিকা পালন করেন। সুপ্রিম কোর্টে হাম্মুদের অংশগ্রহণ আমেরিকার আইন পেশায় মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে মনে করা হয়।