বেকারত্বের কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। আর এই হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, নিজের মাকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন এক যুবক। এরপর মাকে খুন এবং আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে ৭৭ পাতার সুইসাইড নোট লিখে গেলেন তিনি।
রবিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের দিল্লির রোহিণী এলাকায়।
জানা গেছে, ২৫ বছর বয়সি যুবকের নাম ক্ষিতীশ। বিধবা মা মিথিলেশকে নিয়ে তাদের দু’জনের সংসার। দু’-তিন দিন আগে মাকে খুন করেন তিনি। তারপর মরদেহ ফেলে রাখেন শৌচাগারে। দু’দিন নিজেও বাড়ির বাইরে বের হননি। ৭৭ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখেছেন। পরে রবিবার নিজের গলায় ছুরি চালান তিনি।
রবিবার রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। ক্ষিতীশের এক প্রতিবেশী পুলিশকে ফোন করে জানান, তীব্র পচা গন্ধে তারা অতিষ্ঠ। গন্ধটা পাশের বাড়ি থেকেই আসছে। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।
এরপর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দরজা ভেঙে প্রথমে উদ্ধার হয় যুবকের নিথর দেহ। এরপর বাড়ির এদিক-ওদিক ঘুরে শৌচাগারে পা রাখতেই চমকে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় যুবকের মায়ের মৃতদেহ।
পুলিশ জানায়, ওই দেহটি পুরোপুরি পচে গেছে। রোহিণীর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রণব তয়াল জানান, একটি ৭৭ পাতার সুইসাইড নোট পেয়েছেন তারা। সেই নোটের পাতায় পাতায় নিজের হতাশার কথা লেখা আছে। লেখা রয়েছে বেকারত্বের গ্লানির কথা। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য নিহতদের আত্মীয় এবং পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।