প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ তেহরান নিয়েছে তার ফলে আঞ্চলিক দেশগুলো পরস্পরের আরো কাছে আসবে এবং একটি ‘শক্তিশালী অঞ্চল’ গঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী শামখানি।
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে তেহরান ত্যাগের প্রাক্কালে বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আলী শামখানি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব শামখানি আরো বলেন, যদি মধ্যপ্রাচ্যের সবগুলো দেশ এই বিশ্বাসে উপনীত হতে পারে যে, তারা টেকসই নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী মধ্যপ্রাচ্য গঠন করতে পারে, তাহলে আমরা আশা করছি এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত দিক দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইরানের অনেক মিল রয়েছে-উল্লেখ করে আলী শামখানি বলেন, দু’দেশের কর্মকর্তাদের উচিত দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপকভিত্তিক আলোচনায় মিলিত হওয়া।
দীর্ঘ সাত বছরের বিরতির পর সম্প্রতি সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চীনের রাজধানী বেইজিং-এ ওই চুক্তিতে ইরানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আলী শামখানি।