English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে এবার বন্যার হানা, নিহত ৫

- Advertisements -

শতাব্দীর ভয়াবহতম ভূমিকম্পের ক্ষত মিটতে না মিটতেই তুরস্কে এবার আঘাত হেনেছে প্রলয়ংকরী বন্যা। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এ বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। খবর ডেইলি সাবাহর।

বুধবার সকালে তোকাত প্রদেশের গভর্নর নুমান হাতিপোলু জানিয়েছেন, বন্যায় সেখানে একজন মারা গেছেন। আদিয়ামানের টুট জেলায় চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভারি বৃষ্টিতে সানলিউরফা ইয়ুবিয়ে ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সেখানকার রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া, সানলিউরফার আবিদে কোপ্রলু জংশনের কাছে বন্যার কারণে অন্তত ছয়জন আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও কিছু দিন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্কের আবহাওয়া দপ্তরের (টিএসএমএস) পূর্বাভাসে ১৪ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সম্ভাব্য অতিবর্ষণে দুর্ভোগের আশঙ্কা থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, এলাজিগ, মালত্য, কাহরামানমারাস, মারদিন, সিভাস, সানলিউরফা ও কিলিস প্রদেশ। গত মাসের ভূমিকম্পে এই এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তীব্র ভূকম্পনে দুলে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ওই এলাকায় আবারও আঘাত হানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প।

প্রলয়ংকরী সেই দুই ভূমিকম্পে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেশ দুটির বিশাল এলাকা। এতে প্রাণ হারান ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। কেবল তুরস্কেই প্রাণহানি হয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়ে তাঁবুকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন অথবা অন্য শহরে চলে গেছেন লাখ লাখ মানুষ।

কেবল তুরস্কের দুর্গত এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে অন্তত ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবন ধসে পড়েছে অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে তাঁবু, হোটেল অথবা অন্যান্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হচ্ছে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষকে।

৬ ফেব্রুয়ারির সেই ভূমিকম্পে তুরস্কে ১১টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর এক মাস পেরিয়ে গেলেও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, আজও অনেক ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা যায়নি। নিহত হিসেবে সরকারি খাতায় নাম ওঠেনি অনেকের। স্বজনেরা আজও তাদের হারানো প্রিয়জনদের খুঁজে ফিরছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন