যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের ক্ষমতায় কে রয়েছে তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার্থে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিনুযায়ি, ভিয়েনা সংলাপের সর্বশেষ পর্বের আলোচনায় যে অর্থপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে তাকে আরও এগিয়ে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এদিকে, গত শুক্রবার (১৮ জুন) ইরানে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি শতকরা ৬১.৯ ভাগ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও আমেরিকা দাবি করে এ নির্বাচন ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ’ ছিল না। আমেরিকা এমন সময় ইরানের নির্বাচন সম্পর্কে এ দাবি করল যখন বিশ্বের বহু দেশ এরইমধ্যে বার্তা পাঠিয়ে গতকাল শনিবার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসিকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান, কাতারের আমির, কুয়েতের আমির, ওমানের সুলতান, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট, আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, কিউবার প্রেসিডেন্ট, ইরাকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার আলাদা আলাদা বার্তা পাঠিয়ে সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।