English

21 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

ভারতের হাইকোর্টের রায়: ‘অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক নয়’

- Advertisements -

স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন বৈবাহিক ধর্ষণের সামিল বলে ঐতিহাসিক রায় দিলেন ভারতের কেরালা রাজ্যের হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এটি বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে যথেষ্ট বলেও জানিয়ে দিলেন আদালত। কেরালা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি কওসার এডাপ্পাগাথ এবং বিচারপতি এ মুহাম্মদ মুস্তাক তাদের রায়ে বলেন, স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া স্বামীর এই কর্মকাণ্ড বৈবাহিক ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে।

বিবাহবিচ্ছেদের একটি মামলার শুনানিতে কেরালা হাইকোর্ট জানান, স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা, তাকে ভোগ্য পণ্য মনে করা অথবা যে কোনও যৌনাচারই বৈবাহিক ধর্ষণের সমতুল্য। কোনও নারীর বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট কারণ হতে পারে বলে মনে করে বিচারপতি এ মুহাম্মদ মুস্তাক এবং বিচারপতি কওসার এডাপ্পাগাথের ডিভিশন বেঞ্চ।

১২ বছর ধরে চলা এই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে নতুন করে বিবাহিত নারীদের অধিকারের সংজ্ঞা স্পষ্ট করে দিল ভারতের বিচারব্যবস্থা। নারীর সম্মানকে অগ্রাধিকার দিয়ে কেরালা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘অন্যান্য সম্পত্তির মতো বিয়ের পর স্ত্রীর উপর অতিরিক্ত কোনও অধিকার জন্মায় না। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন বা যৌনাচার আসলে ধর্ষণ। এই আচরণ নিষ্ঠুরতার সমান।’

আদালতের মতে, দাম্পত্য সম্পর্কেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনতায় বাধ্য করা ধর্ষণই। তবে এই ধরনের আচরণের কোনও শাস্তি না দেওয়া গেলেও স্ত্রীর উপর স্বামীর নিষ্ঠুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হিসেবেই ধরে নেবে আদালত এবং বিবাহবিচ্ছেদের জন্য উপযুক্ত কারণ হিসেবে একে গ্রহণ করা হবে।

১২ বছরের পুরানো এক মামলায় ভারতের কেরালা রাজ্যের হাইকোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দেয়, সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন স্ত্রী। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী স্বামী। শুনানি চলাকালীন বিচারপতিরা লক্ষ্য করেন, বিয়েতে পাওয়া যৌতুকের মতোই স্ত্রী যেন স্বামীর অধিকারে আসা আরেকটি সম্পত্তি। শুনানি চলাকালীন উঠে আসে জোর খাটিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথাও।

এরপর স্বামীর আবেদন খারিজের আবেদনকে গুরুত্ব না দিয়ে দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নারীর সম্মানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আইন বৈবাহিক ধর্ষণকে এখনও অপরাধের স্বীকৃতি না দিলেও, তা নির্যাতন হিসেবে দেখে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করা যেতেই পারে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন