English

26 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

- Advertisements -

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি ভারতীয় সংস্থা এবং দুই ভারতীয় নাগরিকসহ ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা দেওয়ার জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪০০টি সংস্থা ও ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’

১২টি দেশের মধ্যে ভারতের পাশাপাশি চীন, হংকং, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এসব সংস্থা রাশিয়াকে সেই সব পণ্য সরবরাহ করছে, যেগুলো যুদ্ধ ও শান্তি উভয় সময়েই কাজে লাগে।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত ৭০০টি শিপমেন্ট রাশিয়ায় পাঠিয়েছে তারা। এসব শিপমেন্টে ২ লাখ ডলারের সিএইচপিএল পণ্য রয়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বিমানের যন্ত্রাংশও রয়েছে।

এ ছাড়া সিএইচপিএল পণ্য সরবরাহ করেছে আরেকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাস্ক ট্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার সংস্থাকে তারা তিন লাখ ডলার মূল্যের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা আরেক প্রতিষ্ঠান টিএসএমডি, তারা ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তা করেছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সংস্থার মালিক সেগুলো কোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।

এ ছাড়া  দুই ভারতীয় নাগরিকেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। তারা হলেন বিবেক কুমার মিশ্র ও সুধীর কুমার।
উভয়ই দিল্লিভিত্তিক সংস্থা অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক পদে রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞ দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাত গুলোকে সতর্ক বার্তা দিবে। বার্তাটি হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না নিলেও বাণিজ্যিক খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন