অধিকৃত পশ্চিম তীরে একজন সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনি হামলাকারীকে একজন ইসরায়েলি নাগরিক গুলি করে হত্যা করেছে। একটি ইহুদি বসতিতে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার পর শুক্রবার তাকে হত্যা করা হয় বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, একজন ফিলিস্তিনি দক্ষিণ পশ্চিম তীরে ‘দখলদারদের (ইসরায়েলি) গুলিতে’ নিহত হয়েছেন। তাকে আলা কায়সিয়াহ (২৮) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে সেনাবাহিনী হেব্রনের দক্ষিণে তেনেহ ওমারিম বসতিতে ‘অনুপ্রবেশের’ অভিযোগ করেছে। তারা বলেছে, ‘একজন সন্ত্রাসী একজন বেসামরিক নাগরিককে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টার করার’ পর ‘নিহত’ হয়েছে। এতে কোনো ইসরায়েলি হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একজন বেসামরিক ব্যক্তি গুলি করেছে।
ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, রামাল্লার উত্তর-পূর্ব দিকে দিনের পর দিন ফিলিস্তিনি ও বসতি স্থাপনকারীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সংঘাতের মধ্যে পারস্পরিক পাথর নিক্ষেপ এবং ইসরায়েলি বেসামরিক ব্যক্তিরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। ফলস্বরূপ ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক এবং ফিলিস্তিনিরা আহত হয়েছে।
আল-মুগাইরের কাছে সংঘর্ষে বসতি স্থাপনকারীদের হাতে চারজন আহত হয়েছে বলেও ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
‘বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান এবং আরো সহিংস আক্রমণের’ তথ্য উদ্ধৃত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল ‘বসতি স্থাপনকারীদের হামলার’ নিন্দা করেছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলকে ‘জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনসংখ্যাকে রক্ষার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে।
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে।
সরকারি সূত্র থেকে সংকলিত এএফপির তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের সঙ্গে যুক্ত সহিংসতায় কমপক্ষে ১৫৪ ফিলিস্তিনি, ২০ জন ইসরায়েলি, একজন ইউক্রেনীয় এবং একজন ইতালিয় নিহত হয়েছে। পরিসংখ্যানে যোদ্ধাদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিক এবং ইসরায়েলি পক্ষ থেকে আরব সংখ্যালঘুর তিন সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।