করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ভারত যতই বিপর্যস্ত হোক না কেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় কোনও আঁচড় আসেনি। কারোন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার আসনে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জনপ্রিয়তার হিসাব করা বিশ্বব্যাপী এক সমীক্ষায় উঠে এল এই চমকপ্রদ তথ্য। আমেরিকার ডেটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ‘মর্নিং কলসাল্ট’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। এটি একটা বিলিয়ন ডলার সংস্থা যা ডেটা ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করে।
এই সমীক্ষায় জনপ্রিয়তার নিরিখে সবার উপরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি লোপেজ ও’ ব্র্যাডর। নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে রয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ সমর্থন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লোপেজের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৬৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। তার পক্ষে ৬৩ শতাংশ সমর্থন রয়েছে। চতুর্থ স্থানে আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। তিনি ৫২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রয়েছেন পঞ্চম স্থান। তার পক্ষে রয়েছে ৪৮ শতাংশ সমর্থন। একই জায়গায় রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও।
এই সমীক্ষায় ৭০ শতাংশ সমর্থনের অর্থ হল, বিশ্বের ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ও তার নীতিগুলিকে সমর্থন করেন। তবে জো বাইডেনের এত নিচে থাকার কথা না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় আফগানিস্তান ইস্যুতে মার্কিন সরকারের ব্যর্থতার চেহারা প্রকাশ্যে আসার পরই তার সমর্থন মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
‘মর্নিং কলসাল্ট’ নামক এই সংস্থা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইটালি, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তার হিসাব রাখে। প্রত্যেক ৭ দিন অন্তর এই ১৩ টি দেশের রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তা কতটা বাড়ল বা কতটা কমল, সেই তথ্য় প্রকাশ করা হয়। গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নতুন করে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই তা কার্যত গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ কী ভাবে এতটা জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে ফেললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, সাম্প্রতিক সময় অলিম্পিক ও প্যারাঅলিম্পিকের অসংখ্য ক্রীড়াবিদদের নিরন্তর উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন তিনি। অলিম্পিকের সময় কেউ পদক জিতলে তাকে ফোন করে নিজে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। একই ভাবে, প্যারাঅলিম্পিকের প্রত্যেকটি পদক এবং সাফল্য নিয়েও টুইট করতে দেখা গিয়েছে তাকে। যা এক ধাক্কায় আন্তর্জাতিক স্তরে তার হারানো জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারে অনেকটাই সাহায্য করেছে।