লন্ডন স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের কিছুক্ষণ পর ২৪ বছর বয়সী একজন বিমানবালা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং মারা যান। মেট্রোর একটি প্রতিবেদন থেকে তথ্য জানা গেছে।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গ্রেটা দিরমিশি নামের ওই তরুণী এয়ার আলবেনিয়ার কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করছিলেন এবং বড়দিনের কয়েকদিন আগে দায়িত্বপালনের সময় তিনি মারা যান। জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীরা (প্যারামেডিক) বিমানবন্দরের রানওয়েতে ছুটে গিয়ে সিপিআর প্রদান করেছিলেন। কিন্তু তারা দিরমিশিকে বাঁচাতে পারেননি।
ওই ঘটনার পর বিমানকর্মীর মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তদন্তে আকস্মিক প্রাপ্তবয়স্ক মৃত্যুর লক্ষণ (এসএডিএস) পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও একই কারণে তিনি মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে।
এই মৃত্যুর তদন্তকারী মিশেল ব্রাউন আকস্মিক মৃত্যু সংক্রান্ত এসেক্সের আদালতকে বলেছেন, ‘এই ২৪ বছর বয়সী নারী আলবেনিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে কেবিন ক্রু ছিলেন। যখন তিনি অজ্ঞান হয়েছিলেন তখন তিনি রানওয়েতে ছিলেন। তাকে প্রাথমিক প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছিল। ১০ মিনিট পর তার কোনো পালস (স্পন্দন) ছিল না এবং সিপিআর শুরু করা হয়েছিল। প্যারামেডিকরা তার চিকিত্সা করেছিলেন এবং নিশ্চিত করেছিলেন যে তিনি মারা গেছেন।’
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের (বিএইচএফ) মতে , এসএডিএস এমন একটি লক্ষণ— যখন কেউ হঠাৎ এবং অপ্রত্যাশিতভাবে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে মারা যায়, ‘কিন্তু হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বন্ধ হওয়ার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না’। তবে এই লক্ষণটি বিরল। প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে প্রায় ৫০০ জন এতে আক্রান্ত হয় বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।
দিরমিশির মৃত্যু তার সহকর্মীদেরকে হতবাক করেছিল। তারা বলেছিলেন, তিনি ‘একজন খুবই পেশাদার, একজন দুর্দান্ত সহকর্মী এবং আমাদের সকলের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন’।
এয়ার আলবেনিয়াও তার মৃত্যুর পর একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিল, ‘২১ ডিসেম্বর লন্ডনে আমাদের ফ্লাইট থেকে যাত্রীদের নামানোর পর আমাদের একজন কেবিন ক্রু গ্রেটা দিরমিশির হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল৷ তাত্ক্ষণিকভাবে সমস্ত চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করার পরও আমরা তাকে হারিয়েছি৷’