অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে বিরোধীদের সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি দলের বিদ্রোহীদের ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, দলে ফিরতে। বিরোধী দলকে তিনি বলেছেন, অনাস্থা প্রস্তাবের এই ‘ম্যাচে’ তারা বাজেভাবে হেরে যাবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের ভাগ্য রয়েছে হুমকিতে। কারণ, তার নিজের দলের অনেক সদস্য তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তারা বিরোধীদের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
অর্থের বিনিময়ে বিরোধীরা তাদেরকে কিনে নিয়েছে বলে অভিযোগ ইমরান খান ও তার মন্ত্রীদের। ওদিকে স্পিকার আসাদ কাইসার আগামী ২৫ শে মার্চ অনাস্থা প্রস্তাবে জাতীয় পরিষদের নিম্ন কক্ষের অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
এই অবস্থায় মালাকান্দে এক র্যালিতে রোববার ভাষণ দেন ইমরান খান। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী দলীয় ওই সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে তাদেরকে বিরোধীদের মতো ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। ইমরান বলেন, কিন্তু বিরোধীদের মতো একই পথ অবলম্বন অর্থাৎ ঘুষ দেয়ার চেয়ে তার সরকার হেরে যাওয়াকেও তিনি শ্রেয় মনে করছেন।
তার ভাষায়, আমি ওই সরকারকে অভিশাপ দেই, যে সরকারে থেকে সরকারি অর্থে দলত্যাগীদের দলে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়। এ সময় তিনি ওইসব দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দেন, যারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ইমরান বলেন, আপনারা ফিরে এলে আমি ক্ষমা করে দেব। আমরা সবাই ভুল করি। আমি একজন পিতার মতো, যে তার সন্তানদের ক্ষমা করে দেয়। আমি আপনাদেরও ক্ষমা করে দেবো। এ সময় তিনি ওইসব সদস্যকে তাদের সন্তান ও পরিবারের কথা চিন্তা করতে বলেন। যদি তারা তাদের পরিকল্পনা মতো অগ্রসর হন তাহলে তারা কোথাও শ্রদ্ধা ও সম্মান পাবেন না বলে উল্লেখ করেন ইমরান খান।
এ সময় জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ ও অন্য নেতাদের সমালোচনা করেন তিনি। জবাবে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে অভিযান চালানোর জন্য পাকিস্তানের ঘাঁটি মার্কিনিদের ব্যবহারের বিষয়ে আমি নেতিবাচক জবাব দিয়েছি। কারণ আমরা এমন সক্ষমতা আর রাখি না। এ জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বিভিন্ন সময়ে বলেছি এবং আবারও বলছি, শান্তিতে সমর্থন দেবে পাকিস্তান। তবে কোনো যুদ্ধে নয়।