কারাবন্দি যুবককে মোবাইলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন খোদ কারাপ্রধান। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে সেই বন্দির সঙ্গে আলাপ জমতে থাকে ওই নারী কারাপ্রধানের। সেখানে যুবককে বিশেষ প্রস্তাব দেওয়ার দায়ে আট মাসের কারাদণ্ড হয়েছে ওই নারীর।
বন্দিকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি তাকে ‘বেব’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ৪৭ বছর বয়সী কারাপ্রধান ভিক্টোরিয়া লেথওয়েট।
বন্দি যুবক জেমস্ চালমার্সেরও জেল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের নর্থামশায়ারের এইচএমপি কারাগারে।
২০২১ সালের মে মাসে নর্থামশায়ারের ওই কারাগার থেকে উদ্ধার হয় দুটি মোবাইল। জেলের মধ্যে কিভাবে এলো মোবাইল? মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের।
একটি নম্বর তো স্বয়ং কারাগার প্রধানের! এর পর গ্রেপ্তার হন ভিক্টোরিয়া। দুটি ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন থেকে উঠে আসে বন্দি আর কারাপ্রধানের সম্পর্কের কথা। যে সম্পর্ককে ‘অনৈতিক’ বলে গতকাল বৃহস্পতিবার রায় দেন নর্থামশায়ার ক্রাউন কোর্টের বিচারক।
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে ভিক্টোরিয়া বন্দি জেমস্কে লেখেন, তুমি কথা না বললে আমার ভয় করে। মনে হয় এই বুঝি আমাকে ঠকিয়ে চলে গেলে তুমি।
এক জায়গায় বন্দিকে ‘বেব’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। আদালতে সরকার পক্ষের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, বন্দির সঙ্গে কারাপ্রধান শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
তবে ভিক্টোরিয়ার আইনজীবী পাল্টা জবাবে এর বিরোধিতা করে জানান, এমন কিছুই হয়নি। তিনি জানান, তার মক্কেল নিজের কাজের জন্য লজ্জিত। তিনি মুহূর্তের দুর্বলতায় স্বামী-সন্তান-সংসার— সব নষ্ট করে ফেলেছেন। তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হোক।
যদিও আদালতের পর্যবেক্ষণ, কারাপ্রধানের এমন কাজ ‘গর্হিত অপরাধ’ এবং এক রকমের ‘দুর্নীতি’ও বটে। বিশ্বাসভঙ্গ ছাড়াও বন্দি ও কারা বিভাগের সম্পর্কের বেড়াজাল পেরিয়েছেন ভিক্টোরিয়া। তাই তাকে শাস্তি পেতে হবে। এর পর ভিক্টোরিয়াকে আট মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।