ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ সুখর। ৩১ জুলাই রাজধানী বৈরুতের একটি ভবনে তাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বরাতে টাইমস অফ ইসরায়েল এই তথ্য জানায়।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার আগে ফুয়াদ একটি ফোন কল পান। তাকে তার আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় যেতে বলা হয়। সেখানেই পৌঁছানোর পরপরই ভবনটিতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
হিজবুল্লাহর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ফুয়াদ সুখরকে ফোনকলের মাধ্যমে সপ্তম তলায় নেওয়া হয়। আশপাশে আরও অন্যান্য ভবন থাকায় (উপরে নিয়ে গিয়ে) তাকে সহজেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা যায়। ফোনকলটি সম্ভবত এমন কারও কাছ থেকে এসেছিল, যিনি হিজবুল্লাহর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঢুকে পড়েছিলেন।’
হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্র দেশ ইরান এখন তদন্ত করছে, ইসরায়েল কীভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফুয়াদকে হত্যা করতে সক্ষম হলো। তাদের বিশ্বাস, ইসরায়েল হিজবুল্লাহর পাল্টা নজরদারি ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল।
ফুয়াদ সুখরের হত্যার পর হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হিজবুল্লাহ এতে যোগ দেয়। যদিও ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর সংঘর্ষ সীমান্তেই সীমাবদ্ধ ছিল, ৩১ জুলাই বৈরুতে হামলা চালিয়ে কমান্ডার ফুয়াদ সুখরকে হত্যার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। হিজবুল্লাহ এখন বলছে, ইসরায়েল সীমা অতিক্রম করেছে, এবং এর জন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে।