ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ নামক এলাকায় প্রেমিককে গলা কেটে হত্যা করলেন এক নারী। হত্যার পর ওই তরুণের মরদেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে লোপাট করার চেষ্ঠা করেন। কিন্তু স্থানীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম গাজিয়াবাদ পুলিশের বরাত দিয়ে বলছে, অভিযুক্ত নারীর নাম প্রীতি শর্মা। চার বছর আগে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হন তিনি। এরপর ২৩ বছরের ফিরোজ আলিয়াস চান্নির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তারপর থেকেই ফিরোজের সঙ্গে লিভ-টুগেদার করছিলেন তিনি।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ওই নারী জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিনের লিভ-টুগেদারের পর ফিরোজকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না ফিরোজ। এরপরেও বিয়ের জন্য জোর দেওয়ায় প্রীতি ও ফিরোজের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই সময় প্রীতিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন ফিরোজ। তখন মেজাজ হারিয়ে ক্ষুর দিয়ে ফিরোজের গলা কাটেন প্রীতি।
হত্যা করেই থেমে যাননি প্রীতি। মরদেহ লুকিয়ে ফেলার চেষ্টাও করেন তিনি। এর জন্য প্রীতি একটি ট্রলি ব্যাগ কেনেন। ওই ট্রলি ব্যাগে ফিরোজের দেহ ভরে রবিবার তা ফেলার জন্য বের হয়েছিলেন।
সেই কারণেই গাজিয়াবাদ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। পুলিশের তল্লাশিতে ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহের হদিশ মেলে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় প্রীতি শর্মাকে।
গাজিয়াবাদ পুলিশের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুনিরাজ জি জানিয়েছেন, ওই নারী দায় স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, ওই নারী জানিয়েছেন ওই তরুণের মরদেহ ছিল লিভ-টুগেদারের সঙ্গীর।