মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ৫৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লিজ ট্রাস, যিনি আগে আগের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। বরিস জনসনের পদত্যাগের পর দলীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন লিজ ট্রাস।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও সরকারের মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চার মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপদগুলোতে বসছেন অশ্বেতাঙ্গরা।
নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভায় ঘটেছে এমনই অভূতপূর্ব ঘটনা।
ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই যুক্তরাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে কোয়াসি কোয়ার্টেংকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাস। এর ফলে কোয়ার্টেং হচ্ছেন দেশটির ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অর্থমন্ত্রী। ১৯৬০-এর দশকে ঘানা থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন তার বাবা-মা।
একইদিন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও পেয়েছে যুক্তরাজ্য। গুরুত্বপূর্ণ এই পদে জেমস ক্লেভারলিকে নিয়োগ দিয়েছেন লিজ ট্রাস। তার মায়ের জন্ম সিয়েরা লিওনে এবং বাবা শ্বেতাঙ্গ।
যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় জাতিগত সংখ্যালঘু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রীতি পাটেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। তার বাবা-মা প্রায় ছয় দশক আগে কেনিয়া ও মরিশাস থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এখন থেকে পুলিশ ও অভিবাসন সংক্রান্ত দায়িত্ব সামলাবেন ব্র্যাভারম্যান।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে নাইজেরীয় বংশোদ্ভূত কেমি ব্যাডেনোচকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাস।
আরও যারা আছেন যুক্তরাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায়
ট্রাসের মন্ত্রিসভায় উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু থেরেসি কফি। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলাবেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কিট মল্টহাউস, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন বেন ওয়ালেস।
আন্তঃসরকারি সম্পর্ক ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন নাদিম জাহাবি। ৫৫ বছর বয়সী এ নেতার জন্ম হয়েছিল ইরাকে।
পরিবেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন রনিল জয়াবর্ধনে। তার বাবা শ্রীলঙ্কান এবং মা ভারতীয়।
যুক্তরাজ্যের নতুন ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জ্যাকব রিস-মগ, সংস্কৃতিমন্ত্রী হয়েছেন মিশেল ডনেলান এবং লেভেলিং আপ মন্ত্রী সাইমন ক্লার্ক।
কর্ম ও পেনশন মন্ত্রী হয়েছেন ক্লোয়ে স্মিথ, পরিবহন মন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ান, বিচার মন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস, উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিটন-হ্যারিস, স্কটল্যান্ড বিষয়খ মন্ত্রী অ্যালিস্টার জ্যাক, ওয়েলস বিষয়খ মন্ত্রী স্যার রবার্ট বাকল্যান্ড।
সিওপি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অলোক শর্মা। এছাড়া হাউজ অব কমনসের নেতা হয়েছেন পেনি মর্ডান্ট এবং লর্ডদের নেতা হয়েছেন লর্ড ট্রু।
টোরি চেয়ারম্যান ও দফতরবিহীন মন্ত্রী হয়েছেন জেক বেরি। প্রথম কনজারভেটিভ নারী চিফ হুইপ হয়েছেন ওয়েন্ডি মর্টন৷
সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী হয়েছেন জেমস হেপ্পি, জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন গ্রাহাম স্টুয়ার্ট এবং এডওয়ার্ড আরগার হয়েছেন নতুন পেমাস্টার জেনারেল।