পোল্যান্ড সীমান্ত গ্রাম বোহোনিকি’র মুসলমানরা এরই মধ্যে মৃত চারজন অভিবাসীর দাফন সম্পন্ন করেছে। জানা গেছে, ওই ব্যক্তিরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র বেলারুশ থেকে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে মারা গেছেন।
প্রায় দিনই বোহোনিকির পাশের জঙ্গলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে তাতার সম্প্রদায়ের লোকজন অভিবাসন প্রত্যাশী মুসলিমদের নানা রকম সহায়তা দেয়। পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের এই মুসলিম জনগোষ্ঠী খাবার থেকে শুরু করে পোশাক দিয়ে সহায়তা করে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের।
কিন্তু গ্রামের মসজিদের বাইরে ঝুলানো ব্যানারে স্পষ্ট করে লেখা আছে, সামরিক বাহিনীর কাজের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাদের। তার পরেও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যাপারে দুর্বলতা রয়েছে তাতারদের।
তাতার সম্প্রদায়ের ইউজেনিয়া র্যাডকিউইচ বলেন, দিন শেষে আমরাও শরণার্থী।
জানা গেছে, বোহোনিকি গ্রামে দুটি মসজিদের মধ্যে এখন একটি টিকে আছে। গত শতাব্দিতে যুদ্ধ-বিগ্রহের সময় একটি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
বেলারুশ থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে ওই গ্রাম। ৩০০ বছরেরও বেশি আগে একজন কৃতজ্ঞ পোলিশ রাজা তার পূর্ব সীমান্ত রক্ষায় তাতার যোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য গ্রামটি দান করেছিলেন। তাতারদের রক্তের বিনিময়ে আজকের আধুনিক পোল্যান্ড গড়ে উঠেছে। এর আগের ক্ষমতাসীন পোলিশ নেতারাও সে কথা স্বীকার করেছেন।